Epsi দোকানে মাস্তানি
বুয়েটে দ্বিতীয় বর্ষের কথা। বলাকার পাশেই ছিল জোতার দোকান, Epsi. ওই ব্র্যান্ডের জুতা তখন BATAর সমপর্যায়ে চলে যাচ্ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ইপসি,
জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেনি ।
আমি বা আলমগীর epsi থেকে একটা জুতো কিনেছিলাম। কোন এক কারণে আমরা জুতাটি ফেরত দিতে গিয়েছিলাম ;অথবা বদলাতে গিয়েছিলাম।
দোকান মালিক খারাপ ব্যবহার করে,
জুতাটি ফেরত নেয় নাই। তখনকার বুয়েটের ছাত্র লীগ জেনারেল সেক্রেটারি জলিল ভাইকে ঘটনাটি বললাম।
পরদিন জলিল ভাই বুয়েটের গাড়ি নিয়ে আমাদের কয়েকজনকে জনকে সাথে নিয়ে বলাকা সিনেমা হলের পাশে ইপসি দোকানে আসলেন।যথারীতি দোকানদারের সাথে কথা কাটাকাটি ও গন্ডগোল শুরু হলো। কিছুক্ষণ যাওয়ার পর দেখলাম হঠাৎ কতিপয় মাস্তান টাইপের লোক আমাদের ঘিরে ফেলেছে।
ওই এলাকাটা তখন কাজী মন্টুর এলাকা। তার ইশারাতে ই
সবকিছু হতো। তখনকার জাতীয় মাস্তান খসরু – মন্টুর গ্রুপের,
এই কাজী মন্টু গ্রুপের লোকেরা আমাদেরকে বলাকা বিল্ডিঙের তিনতলায় নিয়ে গেল।
বুঝতে পেরেছিলাম আমার বড় বিপদে পড়ে গেছি। মাস্তানি করতে এসে মাস্তানদের খপ্পরে পড়ে গেছি।
জলিল ভাই চিৎকার করে বারবার তার পরিচয় দিচ্ছিলেন ,
“আমি বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। “
একথা শুনে তারা নিজের মধ্যে ফিসফাস করে কথা বলছিল। কানে কানে কিছু বলে একজনকে কোথাও পাঠিয়ে দিল। বুঝলাম কাজী মন্টু কাছে যাচ্ছে আমাদের ব্যাপারটা
অবহিত করার জন্য। বেশ কিছুক্ষণ পর লোকটি ফিরে এসে আবার ফিসফিস করে কিছু বললো চেয়ারে বসা ঐ লোকটিকে।
ভাবছিলাম উত্তম-মধ্যম এর অনুমতি আসলো কিনা।
কিন্তু কিছু না বলে আমাদেরকে সসম্মানে মুক্ত করে দিল।
বুয়েটের ছাত্র বলে অথবা বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা সবাই অনেক সম্মান পেয়েছি।