আমরা ১৯৯৮ সালে প্রথম buet 78 এর ব্যাচের বন্ধুর নিয়ে একটি পিকনিক আয়োজন করি আফা গ্রুপের পক্ষ থেকে। সম্পূর্ণ এককভাবে পিকনিকগুলো সুন্দরভাবে সমাধান করার চেষ্টা করতাম। গাজীপুরের বিভিন্ন স্পটে আমরা প্রায় চার-পাঁচটি পিকনিক আয়োজন করতে সমর্থ হয়েছিলাম ওই সময়। সকালের নাস্তা হিসেবে আমরা স্যান্ডউইচ সমুচা সিঙ্গারা ও ফল পরিবেশন করতাম। সকালে যাবার সময় ঐগুলোকে কিনে নিয়ে যেতাম। এখন যে ধরনের পরিপূর্ণতা নিয়ে পিকনিক আয়োজন করা হয় তখন সেটা করা সম্ভব ছিল না। তখন আমি একটি খেলা প্রচলন করার চেষ্টা করেছিলাম
হাতে হাড়ি থাকবে
লাঠি থাকবে
একজন আরেকজনের হাড়িটি ভেঙ্গে দিবে। মনে হয় দুইবার ওই খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল কারণ আঘাত পাওয়া্য সম্ভবনা প্রচুর ছিল বলে ঐ খেলাটি আমরা আর আয়োজন করি নাই। তবে খেলাটি আমার কাছে এখনো অনেক আকর্ষণীয় মনে হয় তবে অনেক সাবধানে খেলতে হবে। আমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান্য পিকনিক আয়োজন করে থাকি ওখানে ওই খেলাটিও মাঝে মধ্যে দেয়ার চেষ্টা করি।
ওই সময় পিকনিকের মাঠে যে অনুষ্ঠান হতো এবং বিশেষ করে রেফেল ড্র,আলমগীর খুব সুন্দরভাবে পরিচালনা করতো। ২০০৪ সালে আফতাবের উদ্যোগে বুয়েট এল্যামনাই ৭৮ এর জন্ম হয়। একটি প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি হওয়ার পরে আমরা পিকনিক ,নববর্ষ ও অন্যান্য অনুষ্ঠানমূলক সংঘবদ্ধভাবে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার সুযোগ পাই। গত তিনটি পিকনিকের মধ্যে ২০১৯ সালের পিকনিকে আড়ম্বরপূর্ণভাবে আশুলিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল আলমগীরের স্পন্সার শিপে। করনার পর ২০২২ এ আমরা জল জঙ্গলের কাব্যে, একটি পিকনিক আয়োজন করি। সম্পূর্ণ গ্রাম্য পরিবেশের ঐ পিকনিক স্পটটিতে আলাদা আকর্ষণ ছিল। চারিদিকে দিগন্ত জোড়া মাঠ ,বিল তার মধ্যে বাউল সংগীত গুলো খুব অনবদ্য ছিল। ২০২৩ সালে মাওয়া রিসোর্ট এ পিকনিক, সুন্দর একটি পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো
আফতাবে স্পন্সরশিপে।

জীবনের অন্তিম বেলায় পুরানো বন্ধুদের সাহচার্য অত্যন্ত মধুর এবং মাঝেমধ্যে রসের হাড়ি ভেঙে সবাই তা চাটাচাটি করে একান্ত ভাবে। এরকম সুযোগ অন্য কোন পরিবেশে সম্ভব নয়।
আমরা সবাই অপেক্ষায় থাকলাম আরেকটি মিলন মেলার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *