ছাত্রদের আন্দোলন, না বিএনপির আন্দোলন
বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের আট দফা আন্দোলন এক পর্যায়ে এসে,
*এক দফা আন্দোলনে রূপান্তরিত হল যখন শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করা হলো।*
* আজ ২৬ শে চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত জিল্লুরের তৃতীয় মাত্রায় বিএনপির জনাব মিল্লাত সাহেব বললেন,
*ওই এক দফা আন্দোলন ছিল বিএনপি’র এবং সেটাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা, আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে ব্যবহার করেছিল বা চুরি করে নিয়েছিল*।
অর্থাৎ ছাত্ররা এক দফার আন্দোলন আবিষ্কার করে নাই, বিএনপি আবিষ্কার করেছিল বহু পূর্বেই,প্রায় আট বছর আগে থেকে, সেটাই শেষ পর্যায়ে ছাত্ররা ব্যবহার করেছে।
৪৫ মিনিটে টকশোতে বিএনপি নেতা *মিল্লাত সাহেব বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের আন্দোলনের ভূমিকার অবমূল্যায়ন করার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিলেন।*
উপরোক্ত টকশোতে উনার বিপরীতে এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন সমকালের যুগ্ম সম্পাদক ও কবি জনাব আজিজ।
উনি তীব্র ভাষায়, ছাত্রদের আন্দোলনের বিপক্ষের বক্তব্যকে সমালোচনা করেন। উনি বারবার বলেছেন যে, ছাত্ররাই স্বৈরাচার * *শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় সম্মুখ সমরে ছিল* *এবং একটা বিশাল দানবকে পরাজিত করেছে রক্তের বিনিময়ে।
এবং
*ছাত্রদের আকাঙ্ক্ষা এরকম একটা সরকার যে ইচ্ছে করলেই দানবের রূপান্তরিত হতে পারবে,না, স্বৈরাচারী ভূমিকায় নামতে পারবে না।*
সেজন্যই ছাত্ররা সংস্কার চায়।
জনাব বিল্লাহ সাহেব এক পর্যায়ে বলে উঠলেন এভাবেই সবাই ছাত্রদের মাথায় তুলে দেশের সর্বনাশ করছে।বিএনপির অনেক নেতার মত মিল্লাত সাহেব ও ছাত্রদের অবদান স্বীকার করতে প্রস্তুত নন।
কবি আজিজ বলেন, পনেরোটি বছর আপনারা(বিএনপি) কিছুই করতে পারেন নাই,
*রাতের ভোট হয়েছে, সকালের ভোট হয়েছে*;
এখন আপনারা ছিনতাই বাণিজ্যের আদলে বিপ্লবের বিজয় ছিনিয়ে নিতে চাচ্ছেন!
মডারেটর হিসেবে তৃতীয় মাত্রার জিল্লুরের ভূমিকা অস্পষ্ট এবং একপেশে। উনার অবস্থান বিএনপি ঘেসা।
**২৬ শে জানুয়ারি ২০২৫