চাচা আপন জান বাঁচা
১০-১২ বছর আগের কথা। ছেলেকে নিয়ে কোরবানির পশু কিনতে হাটে গিয়েছিলাম। তখন ছেলের বয়স ১৮-২০। প্রচুর ভিড় , এর মধ্যে ভিড় ঠেলে ঠেলে গরু দেখছি দামদর করছিলাম। এখনকার সময় ঈদের হাট কমে গেছে কিন্তু গরুর সংখ্যা তো কমে নাই
তাই যে কোন হাটে গরুর সংখ্যা অনেক বেশি এবং মাঝে মাঝে গরুর ধাওয়া খেতে হয়।
এই কারণেই গত চার পাঁচ বছর গরুর হাটে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।
এখন ওই ১০-১২ বছর আগের ঘটনাটা বলি;
হঠাৎ আমারও আমার ছেলের সামনে একটা বিশাল একটা গরু তেড়ে মেড়ে আসতে লাগলো, মুহূর্তের মধ্যে বিদ্যুৎগতিতে জান বাঁচাতে আমরা দুজন ছিটকে গেলাম বেশ নিরাপদ দূরত্বে|
আমি যখন পশ্চিম দিকে ২০-২৫ গজ দূরে দাঁড়িয়ে আছি,
তখন অন্যদিকে আমার ছেলে পূর্ব দিকে ২০-২৫ দূরে নিরাপদে দাঁড়িয়ে আছে,
অর্থাৎ দুজনেই নিজের নিজের জান বাঁচিয়েছি,
*চাচা আপনজন বাঁচা!**
কুরআন হাদিস সূত্রে আমরা জানি ,
হাশরের ময়দানে
বাবা ছেলেকে চিনবে না
মা ছেলেকে চিনবে না ,
ভাই ভাইকে চিনবে না ,
প্রত্যেকে ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি
করে আত্মনাদ করতে থাকবে।
গরুর হাটে গিয়ে বাপ ছেলের সেই রকম অভিজ্ঞতাই হল।
ছোট্ট একটি ঘটনার মধ্যে অনেক বড় তাৎপর্য লুকিয়ে আছে।