একটি ফানি ঘটনা
লেকের পাড়ে সকাল সকাল,
রবীন্দ্র সরোবরে পাশে
বসে গরম গরম সিঙ্গাড়া খাচ্ছি।
সাথে মালাই চা। এখানে দুধের সড় মিশ্রিত মালাই চা,
20 টাকা করে বিক্রি হয় মাটির হাঁড়িতে। ওয়ান টাইম প্লাস্টিক কাপ এ দুধ চা বা রং চা,
15 টাকা। সকাল ছয়টা থেকে ভাজা শুরু হয়, ধীরে ধীরে সামনের চেয়ারগুলোতে লোকজনের সমাগম হয়। স্বাভাবিক সময়ে দু তিন টুকরা পেঁয়াজ দেয়া হয়, তখন গরম সিঙ্গাড়া খেতে সুস্বাদু লাগে।
কিন্তু গতকাল সিঙ্গারা ওয়ালা,
পিয়াজ দিল না,
বলল,
স্যার পিয়াজের অনেক দাম।
টমেটো সস দিয়ে খান।
সিঙ্গারা খেতে খেতে চারপাশেরনদৃশ্য দেখছিলাম, পরিবেশ লক্ষ্য করছিলাম,
মৃদু কোলাহল এর মাঝে ঝিরঝির বাতাস,ভালই লাগছিল।
হঠাৎ সিঙ্গার ওয়ালার সাথে, একজন বেটে টাক -মাথা মধ্য বয়স্ক লোকের
কথা কাটাকাটি শুরু হল।ঐ ভদ্রলোক 100 টাকার নোট দিয়েছে কিন্তু সিঙ্গারাওয়ালা বলছে,
আমি তো 50 টাকার নোট পেয়েছি!
ঝগড়া তুমুল পর্যায়ে চলে গেল।
শিংহরাওয়ালা রণেভঙ্গ দিয়ে ১০০টাকার খুচরা ফেরত দিল। ওই টাকমাথা বেটে মধ্য বয়স্ক লোকের মুখ দিয়ে অনর্গল এলোমেলো কথা বের হতে হচ্ছিল ।
তারপর সে একটু দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকল এবং সিংগারাওয়ালার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকলো।
কিছুক্ষণ পর আবার সে সিঙ্গারা ওয়ালার দিকে এগিয়ে গেল —মুখ দিয়ে পিস্তলের গুলির মতো গড় গড় করে, সিঙ্গারাওয়ালার দিকে কথার বুলি বা গুলি নিক্ষেপ করতে লাগলো। আমি বিশ্বয়ের সাথে ভদ্রলোকের কাণ্ডকীর্তি দেখছিলাম!
এবার সিঙ্গারাওয়ালার মুখ খুলল ;আমি তো টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছি আপনাকে,
তারপরেও গর্জন কি জন্য?
তারপর মুচকি হেসে একটু রস করে বলে উঠলো;
যদি আমার টাকা নিয়ে থাকেন তবে আপনার ডায়েরিয়া হবে।
দেখলাম এবার ভদ্রলোক একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে থমকে গেল!এবং উত্তরে কিছু না বলেই সেখান থেকে সটকে পড়ল।