ঢাকা শহরে রেস্তুরা বিলাস – দ্বিতীয় পর্ব

0

সত্তরের দশকে হঠাৎ করেই চাইনিজ খাবার জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আশির দশকের মধ্যে ব্যাঙের ছাতার মতো ঢাকা শহরে চাইনিজ রেস্টুরেন্টে ভরে যায়।
ক্যান্টন ম্যান্ডারিন সাংগহাই, এগুলো ছিল জনপ্রিয় চাইনিজ রেস্টুরেন্টের নাম।
আমি নিরিবিলিতে বলাকার উপরে ভাংচিংএর
চাইনিজ খুব পছন্দ করতাম। ওদিকে বুয়েটের প্রথম বর্ষে গুলিস্তানের চৌ চিন চো চাইনিজে অনেকবার গিয়েছি। ওটার পাশেই বার ছিল।
বুয়েটের শেষ বর্ষে কলাবাগানের সাংহাই চাইনিজে, আমি আলমগীর আনিস মাহবুব সহ আরো দুইজন ছিল,। টেবিলের এক পাশে আমরা। অন্য পাশে ছিল আমাদের (ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের) গার্লফ্রেন্ড, শামীম স্বপ্না লাবিবা জিনাত ফৌজিয়া। আমার সম্মুখে ছিল সুন্দরী শপ্না।একপর্যায়ে আমি মাহবুবের সাথে জায়গা বদলাবদলি করেছিলাম।মাহবুব স্বপ্নার সাথে সেদিন অনেক গল্প-গুজব করেছিল। মাহবুব লিবিয়া যাওয়ার পরও ওই সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল।
মাহবুব ও স্বপ্না,
দুজনেরই অকাল মৃত্যু হয়। মাহবুব লিবিয়াতে গাড়ি এক্সিডেন্ট করে, স্বপ্না ক্যান্সারে মারা যায়।
কর্নেলের মেয়ে ফৌজিয়ার মিলিটারি কিছুটা মেজাজ ছিল।
হঠাৎ করেই আমরা সবাই বিত্তের সন্ধানে মধ্যপ্রাচ্যে চলে যাই,
সম্পর্কগুলোও সময়ের সাথে অন্ধকারে লুকায়।

বুয়েটের প্রথম বর্ষে আমাদের শখ হয়েছিল ফাইভ স্টার হোটেলে খাবার খাবো।জামাল বিশ্বাস সাহস করে আমাদের কয়েকজনকে
ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে নিয়ে গেল। দুপুরের লাঞ্চ করলাম। প্রতিজনে ৩০ টাকা পরলো।
ফাইভ স্টার হোটেলে জীবনের প্রথম খাওয়া।
লঞ্চের প্রথমে ওয়েটার যখন মাখন লাগিয়ে বনরুটি পরিবেশন করলো,
তখন বিস্মিত হয়েছিলাম!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *