সিলেটের স্মৃতিপটে লেখা ইতিহাস-দ্বিতীয় পর্ব
সিলেটের বিখ্যাত সেই ক্বীন ব্রীজের উপর একবার এক লোকের পকেটে স্টিকার লাগানো নিয়ে তুমুল কাণ্ড ঘটে গেল। আমাকে বলতে গেলে পকেটমার সাব্যস্ত করল। কিছু লোকের ভিড় জমে গেল, তাদের কাছে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হলাম। ঐ ছোট্ট বয়সের খুব অপমানিত বোধ করেছিলাম।
কিনব্রিজের রেলস্টেশন অন্য প্রান্তে এক ব্যবসায়ী স্টিকারের বিনিময়ে আমাকে এক টাকার একটা আস্ত কয়েন দিলেন। তখনকার এক টাকার কয়েন বড় ছিল ও ভারিও ছিল।
কয়েনটা পেন্টের পকেটে চালান করে দিলাম।একজন সহপাঠী দেখে ফেলেছিল।তাকে নিয়েই লালকুঠি সিনেমা হলে জীবনের পরথম ছবি দেখলাম।তখন ফোরএ পড়ি বুধহয়।ছবির নাম ছিল দস্যু জাবরু।পাকিস্তানি পাঞ্জাবি ছবি,ডাব করা।একটি আস্ত দুম্বা আগুনে ঝলসানোর দৃশ্য মনে কোঠায় উকি মারে।
ক্লাস ফাইবে জীবনের পরথম
কোমল পানীয় খেয়েছিলাম।বন্দর বাজারের একটি দোতলা রেস্তোরাঁ য়,আমরা কয়েকজন।
বেয়ারা গ্লাসের ঠান্ডা পানিতে একটি পেকেট থেকে লাল গুঁড়া জিনিস ঢেলে দিল,বুদবুদ উঠা শুরু করলো। সেটাই ছিল জীবনের পরথম কোমল পানীয়।প্রতি গ্লাস চর আনা।
রাজশাহীতে বন্ধু বাবু আমাকে জীবনের পরথম কোক খায়িএছিল,তখন পাচ আনা ছিল |