গরমের ব্যবচ্ছেদ
ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি তাল পাকা গরমে মাঠঘাট চৌচির হয়ে যায় খাল বিলের পানি শুকিয়ে যায়। তবে গরমে যে ট্রেনের লাইন বেকে যায় সেটা এবারই প্রথম শুনলাম। গত প্রায় 40 বছর আমরা শুনে আসছি গরমের ভবিষ্যৎবাণী উচ্চ তাপমাত্রা ভবিষ্যৎ বাণী। এবং গরম বা তাপমাত্রা সহনীয় রাখার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপে বৃহৎ দেশগুলোর অনিহার কথা আমরা শুনে এসেছি। অনিয়ন্ত্রিত কার্বন বিস্মরণের ফলে ওজন লেয়ারে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু ফটোলট কি পরিমান সেটা কি আমরা জানি! ফাটলটা প্রায় এক হাজার মাইল বা তারও বেশি। ১৯৮৩ সনে জাপানের কিয়াটু শহরে প্রথম গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ব্যাপারে সম্মেলন হয় কিন্তু বড় বড় ও বৃহৎ দেশগুলোর বৃদ্ধাঙ্গুলির মুখে সেই ভাবে কোন বাস্তব পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়নি।
তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে এগুলা আর এখন কল্পকথা নয় ,
ইতিমধ্যেই আমরা তার স্বরূপ দেখতে শুরু করেছি। কক্সবাজার গেলেই সমুদ্র উচ্চতার বিষয়টা দৃষ্টিগোচর হয় পানি তীরে অনেক কাছে চলে এসেছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা যেন দুই ডিগ্রি বেশি না বাড়ে সেই জন্য বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে গত 10 বছর যাবত। বলা হয় আগামী ২০,২৫ বছরের মধ্যে বৈশ্বিক তাপ তিন ডিগ্রি বাড়তে পারে যা পৃথিবীর জন্য অসহনীয় হবে শস্য উৎপাদন কমে যাবে পানিস্বর নিচে নেমে যাবে।
প্রথম বিশ্বের বা উন্নত বিশ্বের জনগণের মধ্যে অহংকার ছিল জলবায়ুর পরিবর্তন তাদের জন্য বিরূপ কিছু তৈরি করবে না। কিন্তু গত দুই বছরে শীত প্রধান দেশেও দাবানলের তান্ডব লক্ষ্য করা গেছে। চীনের পোয়াণ লেকের পানিশ্বর নিচে নেমে গেছে, যা গত 100 বছরের মধ্যে রেকর্ড। হিমালয় পর্বতের পুঞ্জীভূত বরফ গলা শুরু হয়েছে যেটা অনেকটা অবিশ্বাস্য। অনেকটা দ্রুত গতিতে সেটা ঘটছে।
আমাদের গত একশো বছরের অত্যাচারের জন্য পৃথিবীর তাপমাত্রায় বেড়ে যাচ্ছে ,
সুপিয় পানির অভাব ঘটবে, ভবিষ্যতে আরো অনেক অনাসৃষ্টির কারণ আমাদের অবিনিশ্চয়কারিতা।
তাপমাত্রার বিষয়টা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছি যে এখন রম্য রচনা লেখা হচ্ছে যে
গরমে মুরগি ও সিদ্ধ ডিম পেড়ে দিচ্ছে। গাভীও বয়েলিং টেম্পারেচার এর দুধ দিচ্ছে।
তবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ভয়াবহতা হাস্যরসের অনেক ঊর্ধ্বে!