যাদের অধিক অধিক সম্পদ ছিল অথবা যাদের অধিক অধিক সম্পদ আছে তাদের নিয়ে প্রায় সময়,ই কিছু প্রতিবেদন ছাপা হয়। মাইকেল জ্যাকসন , এলভিস প্লিস লি এবং এরকম আরো অনেকের কথাই
আমরা শুনতে পাই যারা অগাধ সম্পদের জন্য রাত্রে ঘুমাতে পারতেন না এবং ঘুমের ওষুধ খেয়ে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেন অপরিনিত বয়সে। সম্পদের পাহাড় ও
আশেপাশে চাকর-বা সাহায্যকারীর মেলা থাকা সত্বেও তারা অশান্তিময় জীবন যাপন করেছেন এবং সবচেয়ে বড় কথা তারা ঘুমোতে পারতেন না।

এখানে কিন্তু টাকাটা মূল সমস্যা ছিল না, অনেক ক্ষেত্রে এটাই সত্য। সমস্যা টাকার নয়,
টাকা বা সম্পদের বাই প্রোডাক্ট গুলো প্রকৃত সমস্যা।
অধিক ধন সম্পদ অর্জনের সাথে সাথে অনেক প্রিয় ও অপ্রিয় জিনিস নিজের দিকে ছুটে আসে। এবং সত্যি কথা বলতে কি
অপ্রিয় জিনিসগুলোর সংখ্যাই বেশি। নিজের নিকটজনদের সাথে শত্রুতা সৃষ্টি হয়ে যায়,
দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে যায়। বন্ধু-বান্ধব রও সম্পদের পাহাড়ের নিচে অসহায় ভাবে অবস্থান করে, তারাও অচেনা মানুষে পরিণত হয়। তখন জীবনের যেটা সবচেয়ে ভয়ংকর জিনিস সেটাই আক্রমণ করে, একাকীত্ব বা
নির্জনতা। মন খুলে কথা বলার কোন লোক পাওয়া যায় না, নিজের অনুভূতির প্রকাশের কোন জায়গা থাকে না।
একটা সম্পদশালী লোক তখন বড় একা হয়ে যায়।
নির্জনতাও নিঃসঙ্গতার জন্য আদম আলাই সালাম আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করাতে আল্লাহ তাকে হাওয়াকে ,
পাঠালেন
সঙ্গী হিসেবে। সঙ্গী বা সাথী বস্তুটি ছাড়া জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে
নির্জনতা কুরে কুরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।
তাই মনে হয় টাকা নয় ,
টাকায় বাই প্রোডাক্টগুলোই অধিক সম্পদশালী লোকদের জন্য কাল সরূপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

একুশে বইমেলা

বন্ধুরা / শুভাকাঙ্ক্ষীরা,
বইমেলার ১২৫ (অবনী প্রকাশনা) নম্বর স্টল ঘুরে আসার আহবান রইলো|
আমার লেখা নিন্মে বর্ণিত তিনটি বই পাওয়া যাবে _
১/ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জুলাই'৩৬ বিপ্লব
২/যুক্তি তক্কো গপ্প
৩/ইসলামের ভিতর ও বাহির

গোলাম মোহাম্মদ খান ফারুক

This will close in 15 seconds