ইকো মারমেড রিসোর্ট এ এক রাত্রি
রাত প্রায় আটটা রেস্টুরেন্টে বসে আছি ।একটু আগে চিকেন শর্মা খেলাম।
বউ খেলো রং চা আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। আজ দুপুর ১ টায় ইকো মারমেড রিসোটে ঢুকেছি। এর পাশেই রয়েছে বিচ মারমেড রিসোর্ট। আমি বুকিং দিয়েছিলাম বুকিং ডটকমের মাধ্যমে টাকা কিছুটা বেশি গেল কিন্তু রুমটা পছন্দ হলো না। বেল বয় আমার দামি নুতন সুটকেসটা হেসড়ে টানতে টানতে রুম পর্যন্ত নিয়ে গেল। ফলাফলে সুটকেসটার হ্যান্ডেলটা ভেঙে গেল। ট্যুরের মেজাজে ছিলাম বলে তাকে কিছুই বললাম না। রুমটা দেখে খুব হতাশ হয়ে পড়েছি
দেখে সে নিজেই বললো একটা ভালো রুম খুঁজে দিচ্ছি বসকে বলে একটু অপেক্ষা করুন। কিছুক্ষণ পরে এসে আমাদেরকে সবচেয়ে বড় রুমটার দিকে নিয়ে চলল, আমাকে ২০০০ টাকা বেশি দিতে হবে। বড় একটা কাঠের হল রুমের সামনে দিয়ে এগিয়ে ডান পাশে আমার বড় বাংলোটা। আমাদের দুজনের পছন্দ হয়ে গেল। বেল বয়ের কল্যাণে আমার সমস্যাটা তড়িৎ গতিতে সমাধান হলো। খুশি হয়ে তাকে ৫০০ টাকা বক্সশীষ দিলাম।
দুটোর সময় রেস্টুরেন্টে আসলাম মেনু দেখি একটু অবাক হতে হলো
১০০ গ্রাম করাল ফিস বারবিকিউ সাড়ে ৪০০ টাকা করে। শেষ পর্যন্ত দেশি মুরগি ডাল আর সবজি অর্ডার দিলাম।
রেস্টুরেন্টে চারপাশটাই খোলা একপাশে একটা লেক। বেশ সুন্দর গ্রামীন পরিবেশের রেস্তোরাঁর মত। আমাদের রুমটা কে রুম না বলে একটা কাঠের বেশ বিশাল কক্ষ বলা যায়, সম্পূর্ণটাই কাঠের কারুকার্য করা এখানে কংক্রিটের কোন বালাই নেই। ইকো মারমেড রিসোর্ট এমন একটা সময়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়
যখন কংক্রিটের জন্মই হয়নি।
সন্ধ্যার কিছু পূর্বে সূর্যাস্ত উপভোগ করার চেষ্টা করলাম। বউ কাঠের কক্ষে শুয়েছিল তাকে ডাকতে গেলাম
দুজনে এসে দেখলাম
সূর্যাস্ত শেষ । এখন আমরা দুজনে মারমেড রিসোর্ট ঘুরে দেখতে লাগলাম । ধীরে ধীরে টুকটুক করে আলো জ্বলে উঠলো এবং সেটা একটা দেখার মত দৃশ্য, রঙিন আলোর মেলা চারিদিকে। বেশ কিছু ছবি তোলা হলো। রাত বারোটা পর্যন্ত ডিনার করা যাবে এই খোলা রেস্টুরেন্টের মাঝে।