আল্লাহর নিষেধের বিরুদ্ধে নিজস্ব মতবাদ
অনেক মুসলমানই আছে অথবা আজকাল বেশি বেশি সে যেন মুসলমানকে দেখা যায় যা নামাজ রোজা হজ্ব যাকাত ইত্যাদি ইবাদতের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার পরও এমন কিছু কিছু কাজ করে যেটাতে আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজের নাফসের কাছে বন্দী হয়ে যায়। ঐশী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে নিজস্ব মতামত দিয়ে
যুক্তি খাড়া করিয়ে হারামের মধ্যে গা ভাসিয়ে দেয়।
সুদ ও মদ পানের ঐশির নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে অনেকে যুক্তি তর্ক তুলে। ১৪০০ বছর আগে ৫ হাজার বছর আগের সুদের সাথে বর্তমান ব্যাংকিং ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অন্যরকম। সুদ বলতে ঐশী পানিতে মহাজনী সুদের কথাই বলা হয়েছে।
মদ্য প্রাণ নিয়ে নিজস্ব ধারনায় বন্দী হয়ে থাকে অনেকে। ভাবে মদ্যপান করে তো আমি কারো ক্ষতি করছি না। মদ্যপানকে সময় কাটানো একটা নিছক আনন্দ বলে মনে করা হয়। তাই দেখা যায় নামাজ রোজা হজ্ব যাকাতের পরেও অনেকে মদ পান ছাড়তে পারে না। এক বালতি দুধ নষ্ট করতে এক ফোঁটা খারাপ পানি যথেষ্ট। আল্লাহর একটি নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করলে ভালো কাজগুলো বিতর্কিত হয়ে পড়ে। একটি বিতর্কিত কাজ ঈমানকে সন্দেহযুক্ত করে তুলে।
হিজাব সঠিকভাবে মানার ক্ষেত্রেও মেয়েরা অনেক ছলনার আশ্রয় নেয়। কেউ কেউ চুলের অংশবিশেষ খোলা রাখে। কেহ কেহ সম্পূর্ণ শরীরটা ঢেকে রাখে কিন্তু মাথার চুলকে প্রদর্শন করে।
কেউ আবার আটোসাটো শাড়ি পড়ে সেটা কে বোরখা বলে অভিহিত করতে চায়। কেউ আবার দেহের বা শরীরের বাক গুলো দেখিয়ে টাইট বোরখা পড়ে।
কেউ যদি এয়ার কন্ডিশনে মাথাটা ঢুকিয়ে রাখে শরীরটা বাইরে গরমের মধ্যে রাখে
তখন তার অবস্থা বিপর্যস্ত হতে বাধ্য। তাই ইসলামে প্রবেশ করতে হবে সম্পূর্ণভাবে। আংশিক ইসলাম বলে কিছুই নাই।