নারীর ব্যবচ্ছেদ
একটা কথা আছে এই পৃথিবীতে যা কিছু আছে অর্ধেক করিয়েছে নর
বাকি অর্ধেক নারী।
প্রতিটি সাকসেসফুল পুরুষের পেছনে রয়েছে একজন নারীর প্রেরণা।
পুরুষের জীবনে নারীর ভূমিকা এত প্রচন্ড ,যে পুরুষ সত্যি সত্যি নারীর সুন্দর সহাচর্য পায় তার জীবন- আয়ু,ও অনেক বেড়ে যায়। যখন আমরা উচ্ছল প্রাণবন্ত পুরুষের দেখা পাই
তখন বুঝিনে,ই পিছনে রয়েছে একটি নারী ।
বেহেস্তের বাগানে আদম যখন সঙ্গী ছাড়া হাহাকার করছিল তখন আল্লাহ তা’আলা তাকে একটি সঙ্গী দিলেন হাওয়া।
সৃষ্টির প্রারম্ভেই একটি পুরুষ বুঝিয়ে দিল নারীসঙ্গ ছাড়া জীবন অচল।
কিন্তু সভ্যতার অগ্রগতিতে ধীরে ধীরে নারী বলরাহীন হয়ে পড়ছে এবং পুরুষের জীবনের অশান্তিতর মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।
যুগে যুগে নারী সংসারের সমাজের সুখের পাখি ছিল, তার কলতানে সংসার হয়ে উঠতো মূর্চনায় আনন্দঘন ,
তার অন্য রূপ ধারণ করার ব্যবচ্ছেদ করা দরকার।
কালের পর কাল নারীকে একটি নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতার মধ্যে জীবন অতিবাহিত করতে হয়েছে। তার স্বাধীনতা ছিল সীমাবদ্ধ এবং তার চলাচলের ক্ষেত্রেও ছিল সীমাবদ্ধ। যুগে যুগে পুরুষ শাসিত সমাজে বা পৃথিবীতে নারীর জীবনযাত্রার নিয়মাবলী পুরুষ দ্বারাই নির্দিষ্ট করে দেওয়া হতো। একসময় নারীর শিক্ষা দীক্ষা
ছিল না
নারী স্বাবলম্বী ছিল না।
নারী প্রায় 100 ভাগ পুরুষের মুখাপেক্ষী ছিল।
কিন্তু সময়ের তালে তালে নারীও শিক্ষিত হলো নারী স্বাবলম্বী হতে শুরু করল। এমনকি দেশে দেশে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নারীদের অধিষ্ঠিত হতে দেখা গেল। বেগম রোকেয়ার স্বপ্নের মত
নারী জাগরণ শুরু হয়ে গেল।
শত শত বছরের শৃঙ্খলিত ও বঞ্চিতা নারী জেগে উঠলো।
সম অধিকারের দাবিতে ঘরেও বাইরে তারা এখন সদা সোচ্চার। রান্নাঘর
সামলানো ও বাচ্চা পালন করে, বিনিময়ে কিছু না পেয়ে
ধুকে ধুকে অসম্মানিত জীবনের বিরুদ্ধে তারা বিদ্রোহ করে বসলো।
পুরুষ যদি নারীর এই জাগরণকে সম্মান করে সহঅবস্থান করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তখনই আবার দুজনের কলতানে পৃথিবীতে কলরব শুরু হবে যা এক সময় শুরু হয়েছিল বেহেস্তের বাগান থেকে আদম হাওয়ার মাধ্যমে।
**বৃহস্পতিবার
৮ ডিসেম্বর, সকাল আটটা।
সাব্বির নাস্তা খেতে না আসাতে বসে বসে এটা লিখে ফেললাম।