কঠিন বাস্তবতা
আমি শহীদের কথার উত্তরে ভদ্রভাবে বলেছি কেবল একটি কথা,
বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে?
কিন্তু গত এক বছর যাবৎ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে বারবার আমি একটা কথাই বলে যাচ্ছি যে
মূল্যবোধের সম্পূর্ণ অবক্ষয় ঘটে গেছে এই সমাজে বিশেষ করে উপরতলার লোকদের মধ্যে। ওইখানেই দেশপ্রেমের বড্ড অভাব। তাই হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে বাংলাদেশে ভয়ঙ্কর গব্বর তৈরি করা হচ্ছে। একটা গুষ্টি ভয়ঙ্কর ভাবে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে , ব্যাংকের টাকা , সাধারণ জনগণের টাকা ,আত্মসাৎ করে বা কালোবাজারি করে অথবা অন্যান্য অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন করে,
তা আবার বিদেশ পাচার করে , দেশের বিকট সমস্যা তৈরি করছে।
মাত্র কয়েক লাখ লোকের কাছে ১৭ কোটি মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। যে দেশের জাস্টিস বলে কিছু নাই, সেই দেশের সাধারণ জনতা দিক বিদিক হারিয়ে মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলে।
একমাত্র তাদের মধ্যে কিছুটা দেশপ্রেম আছে, কিন্তু সমস্যার ঘূর্ণিপাকে এবং একটা পচনশীল সমাজের মধ্যে থেকে,
তারাও পচতে
শুরু করেছে। এই দুর্বুদ্ধ পচনশীল মূল্যবোধহীন সমাজে আমাদের সন্তানদেরকে ভবিষ্যৎ কি?
এই প্রজন্মের কাছে কোন দিক নির্দেশনা নাই। উপরের দিকে তাকিয়ে তারা ভালো কিছু দেখতেই পায় না ,
ভালো কোন শিক্ষা ও পায়না, কোন দিকনির্দেশনা নাই পায়না। একসময় সমাজের শিক্ষকরা ছিল পিতৃতুল্য। এখন শিক্ষকরাই বিভিন্ন স্থানে ধর্ষকের ভূমিকা নেমে পড়েছে। বিচার ব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে। বলতে লজ্জা হয়, তবুও এ কথা জেনে আশ্চর্যই হয় |
বিচারকদের এখন ক্রয় করা যায়। বিচারহীনতার জন্য এখন নিজের ছেলের হত্যাকারীর বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করতে চায় না অনেক বাবা-মা।
ইসলামের সূর্য উদয়ের আগে
যে জাহেলী সমাজ ছিল, এখনকার সময় সেই সমাজ থেকেও জঘন্যতর। জাহেলী সমাজেও কিছু ইথিকস মেইনটেইন করে চলত, মিথ্যা আর মুনাফিকের এত চর্চা ছিল না। তারা প্রয়োজন হলে অস্বীকার করত এবং তালওয়ার উঠিয়ে যুদ্ধ করতো, সম্মুখ সমর করত। এখনকার সমাজের মত কাপুরুষতা, মুনাফেকিতা, ওই জাহিল সমাজেও ছিল না। কিন্তু আমাদের নবীজির আহবানে সাড়া দিয়ে ওই জাহিল সমাজ একটা সোনালী সমাজে রূপান্তরিত হয়ে যায়।
আমাদেরকে কে পথ দেখাবে?
আমাদের আশেপাশে কোন বড় মাপের মানুষ নেই, কোন বড় মাপের নেতাও নেই। আমরা কুরআনকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে অন্ধকারের দিকে দৌড়ে চলেছি,
চারিদিকে শয়তানরা মহড়া দিচ্ছে।
মাঝে মাঝে মূল্যবোধের ছোট ছোট প্রদীপ জ্বলে উঠে এখানে সেখানে। সেটা কখন সমাজকে আলোকিত করে তুলবে, অপেক্ষায় আমাদের দিশেহারা সম্প্রদায়।
আমরা আল্লাহর রহমতের আশা করা ব্যতীত আর কিবা করিতে পারি।