দুনিয়াতে মানুষ একটি জাতি। উপরটা কেবল সাদা আর কালো; ভিতরে সবারই সমান রাঙ্গা।
অথচ এই মানুষগুলোর মধ্যে কত না বৈষম্য। জাতিগত বৈষম্য, ধর্মগত বৈষম্য, বংশগত বৈষম্য
আর ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কালের কাল পর‌ কাল থেকে
চলে আসছে। সভ্যতার প্রারম্ভে সবচেয়ে আদি মানুষ দলবদ্ধ হয়ে থাকত এবং দলবদ্ধ হয়ে শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতো। সেখানেও ছিল চরম বৈষম্য। শক্তিশালী বনাম শক্তিহীন দুর্বল। একটা শিকার করা জন্তুর সিংহভাগ, যারা শক্তিশালী তারাই খেয়ে ফেলতো, দুর্বলদের জন্য, নারীদের জন্য ছিল উচ্ছিষ্ট।
কিন্তু মানুষ সভ্য হলো কিন্তু বৈষম্য গেল না। কেউ খাবে কেউ খাবে না এই রীতি চলে আসলো অনাদিকাল থেকে। দুর্বলরা কখনো ন্যায্য অধিকার পেল না, তাদের অসহায়ত্ব দেখার কেউ কখনো ছিল না। ধনীদের মধ্যেও টাকার অংক নিয়ে নিজেদের মধ্যে আরেক বিরাট বৈষম্য। সৌদির ধনকুভেররা দুনিয়ার কোন ধনীদেরই পাত্তা দিতে চায় না। কারণ তারা ঐশ্বর্য লুকিয়ে রাখে না ,
ঐশ্বর্য উপভোগ করার ক্ষমতা রাখে। তাইতো যেকোনো বিদেশির চোখ ধাদিয়ে যায় যখন দুবাইয়ের রাস্তা দিয়ে হাঁটে অথবা কাতারে রাস্তা দিয়ে হাটে অথবা দুবাইয়ের কোন মলে ঢুকে অথবা কাতারের কোন মলে ঢুকে।
সম্পদের ওজন নিয়ে যেমন ধনীদের মধ্যে বিরাট বৈষম্য,
কে শুধু শুধু ভাত খেলো ,
কে ডাল দিয়ে ভাত খেলো
কেবা একটু তরকারি দিয়ে ভাত খেলো
সেটা নিয়ে আবার গরিবদের মধ্যেও আরেকটা প্রতিযোগিতা বা বৈষম্য।
এই বৈষম্য বৈষম্য খেলাই মনে হয় মানুষের জীবনের চালিকা শক্তি। যেমন slip নামক একটি ইঞ্জিনিয়ারিং শব্দের জন্য মোটর ঘুরতে থাকে। এটাই হলো মোটরের চালিকাশক্তি।

মরে যাওয়ার পরও নিস্তার নাই। আবার সেই বৈষম্য। পাপীরা হয়তো জাহান্নামে যাবে ,
আবার বড় পাপীরা হাবিয়া দোযগে যাবে,
এছাড়াও আরো পাঁচটি স্তর আছে। পাপাচার নিয়েও বৈষম্য।
বেহেস্তের বেলায় সেই একই কথা। কেউ কেউ জান্নাতুল ফেরদৌস এ যাবে, আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় বান্দারা। তারপরে বৈষম্যের শিকার হয়ে
অন্যেরা বাকি সাতটা বেহেশতে ঢুকতে পারবে।
আল্লাহ একক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *