জীবন এত ছোট কেন?
কে বলছে ওই কথাটা?
সে সকাল ১২ টার আগে ঘুম থেকে উঠে না। উপভোগ করে নাই ,
ভোরের স্নিগ্ধ হওয়া।
ভোরের পাখির কলতান।
জীবন এত ছোট বলে আহাজারি করছে,
ওদিকে স্বামীকে একঘরে করে দিয়ে
নিজে একাকি জীবন উপভোগ করার বৃথা চেষ্টা করছে।
হয়তো প্রতিদিনই ঝগড়াঝাটি করে দিনের অর্ধেকটা
সময় নিজেকে গুটিয়ে রাখছে। ভুরু কুঁচিয়ে রাখছে ।
পুরুষরা অধিক টাকা অর্জনের মোহে সময়টা উপভোগ করার সুযোগই পাচ্ছেনা। প্রতিমুহূর্ত ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা,
ইনকাম ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার চিন্তা
ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার চিন্তা ,
কাস্টম ফাঁকি দেওয়ার চিন্তা—কারণ অনেক ধন উপার্জন করতে হবে , প্রতিযোগিতায় সকলকে হারিয়ে,
পিরামিডের সেই চূড়ায় উঠতে হবে।!!
†**যদি উপভোগ করার মন-মানসিকতা থাকে তবে
ছোট্ট একটি জীবনই যথেষ্ট।†† বিড়ম্বনার
দীর্ঘ জীবনের কি অর্থ?
আমাদের জীবনে তো বাল্যকালের একটা মধুর অধ্যায় ছিল।
এখন পিঠের মধ্যে বইয়ের বোঝা নিয়ে বালক বালিকারা গোমরা মুখে রাস্তা পার হতে দেখি, স্কুলে যেতে দেখি। শৈশ্যবকলটা তো শেষ হয়ে গেল।
লম্বা জীবন দিয়ে কি হবে?
দাম্পত্য কলহে স্বামী স্ত্রীর অধিকাংশ সময়ে বিফলে যায়। অনেকেরই এখন পৃথক বিছানা বা পৃথক বেডরুম। বেশি ঘুমিয়ে বেশি বেশি ঝগড়াঝাঁটি করে জীবনের ৬০%ই তো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ,
দেখেও আমরা দেখছি না ,
শুধু দীর্ঘ জীবন
দীর্ঘজীবন জীবন
করছি,
হাহাকার করছি—
জীবনটা যে কত ছোট্ট!!