ধর্মব্যবসায়ীর খেতাব ও অপব্যাখ্যা
ইদানিং ধর্মব্যবসায়ী শব্দটি আলোচিত হচ্ছে। দুদক ও বেশ কয়েকজন ধর্মব্যবসায়ীর নাম লিপিবদ্ধ করেছে এবং প্রচার করেছে। আমাদের সমাজের মাওলানা,ও মোল্লা শ্রেণী,
যারা কোরান হাদিস নিয়ে আলোচনা করেন, সেটাকে ওয়াজ বলা হয় পক্ষান্তরে ধর্ম ব্যবসা ( অপব্যাখ্যা এরূপ।)
আজকালতো সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা,; প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে টাকার বিনিময়ে লেকচার দেন অর্থাৎ কথা বিক্রি করেন।
সমাজে সেটার ব্যাপারে কোনো বিষোদগার নাই। ঐরকম ইললিগ্যাল কর্মকাণ্ড আমরা মেনে নিচ্ছি শান্ত মনে।
ডাক্তাররাও মৌখিক সেবা দিয়ে টাকা নেন। এটা ভিজিট নামে পরিচিত। তার মানে ডাক্তার সাথে দেখা করে কথা শুনাও একটি প্রেসক্রিপশনের বিনিময়ে
টাকা দিতে হয়। কারণ চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যায়ন করে,তিনি যোগ্যতা অর্জন করেছেন, তাই ওনার সেবার বিনিময়ে,
টাকার বিষয়টা যুক্তিযুক্ত ব্যাপার। ।
ইঞ্জিনিয়ার বা অন্যান্য ক্ষেত্রেও একই রকম যুক্তির অবতারণা করা সম্ভব।
তদ্রুপ মাওলানারা বা মোল্লারা বছর বছর কোরআন হাদিস নিয়ে অধ্যায়ন করে থাকেন। উনারা এগুলোর চর্চা করেন, এগুলো নিয়ে গবেষণা করেন,
কিছু কিছু অংশ মুখস্তও করেন।
ডাক্তার ইঞ্জিনিয়াররা যা করে বিদ্যা বুদ্ধি অর্জন করে থাকে, উনারাও সেরকমই ভাবে যোগ্যতা অর্জন করার পর,
ওয়াজ করেন, অর্থাৎ কোরআন হাদিস সমাজে প্রচার করেন।
প্রতিটি জিনিসেরই বিনিময় আছে এই পৃথিবীতে। কথায় বলে,
শুধু শুধু চিড়া ভিজবে না’।
তাই আমার মনে হয় ধর্মব্যবসায়ী শব্দটি ব্যবহার করা বা প্রচার করা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। তখন ইঞ্জিনিয়ার ও ডাক্তারদেরও,বিশেষ শ্রেণীর ব্যবসায়ী নামে পরিচিত করতে হবে।