রাজ্য শাসিসে রাজা
রাজাকে সাশিসে
রানী-+++
সেই কবে থেকে একথা গল্প-উপন্যাসে পড়ে আসছি।
আজ হঠাৎ মনে হল,
এই ব্যাপারটার একটা
ব্যবচ্ছেদ করা দরকার।
একজন প্রতাপশালী রাজা
কি কারনে একজন নিরস্ত্র
রানীর দাঁরা শাসিত হবেন?
ব্যাপারটার জন্য কিছুটা চিন্তা-ভাবনা ও
কিছুটা গবেষণারও
দরকার আছে।
রাজার কাজ কি?
রাজ্য শাসন করা।
মন্ত্র দিয়ে
কি রাজ্য শাসন করা যায়?
রাজ্য শাসন করা এক বিশাল বিশাল ব্যাপার,
বিশাল কর্মকাণ্ড।
রাজাকে প্রতিনিয়ত এই বিষয়ে ব্যস্ত থাকতে হয় এবং মাথায় অনেক কিছুই সবসময় ঘুরপাক করে।

দুনিয়ার সমস্ত পুরুষ মানুষের মতো রাজাও এইভাবে 24 ঘন্টা,
দৈহিক ও মানসিক ভাবে ব্যস্ত থাকেন।

রাজ্যের কোষাগার নিয়ে চিন্তা, প্রজাদের কল্যাণ ও বিচার আচার, আশেপাশের রাজ্য
থেকে হামলার চিন্তা, নিজের মন্ত্রী ও নিকট অন্যান্যদের বিশ্বস্ত নিয়ে চিন্তা _—+++—-???
সব পুরুষ মানুষের (রাজার মতো) ক্ষেত্রে কম বেশী ওরকমই ঘটে!!

এদিকে একটি রানী বা
একটি নারীর চিন্তা,
কেবল তার স্বামী।
প্রথম দু’বছর সে,
নিবিড় ভাবে তার স্বামীকে পর্যবেক্ষণ করে,
স্বামীর দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করে।
এবং ছলেবলে ও
কথার ফুলঝুরি দিয়ে
স্বামীর মধ্যে কিছু দুর্বলতা ও
তৈরি করে ফেলে।
বেচারা স্বামী এখন এখন যাবে কোথায়??

স্বামী প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে এক শত সেক্টরে বা বেশী —

অন্যদিকে রানী বা একজন নারীর
প্রতিপক্ষ কেবল একজন রাজা
বা একটি পুরুষ!

তাই এই অসম যুদ্ধে সবসময় পুরুষরা চরমভাবে পরাজিত হয়ে আসছে,
যুগের পর যুগ,
কালের পর কাল!!!

রচনাকাল ঃ
ধানমন্ডির ইউনিমার্ট এর সোফা।
১.৩০
১০-৯-২২

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *