Too err is human. মানুষ মাত্রই ভুল করে। কেবলমাত্র শয়তান ভুল করে না।- 2nd Part

0

এ বিষয়ে আমি একটি প্রতিবেদন দিয়েছি, যাহা শিক্ষামূলক তাদের জন্য,
যারা কোনো অবস্থায়ই ভুল করতে চান না,
দোষ হলেও দোষ স্বীকার করতে চান না,
অথবা দায় নিতে চান না।
দোষ স্বীকার করে ছোট্ট একটি শব্দ উচ্চারণ করলে (দুঃখিত বা সরি)
–অনেক সময় এই ঘটনাটি ওখানেই শেষ হয়ে যায়।
কিন্তু নিজেকে বাঁচানোর জন্য বারংবার অর্ধসত্য দিয়ে ছলচাতুরি করে গাঁজাখুরি গল্প বানানো হয়,ভুল বা দোষকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য,
তা প্রক্ষান্তরে নিজেকেই ছোট করা হয়,
নিজের সম্মানহানি হয়।

মুসলমান মাথা উঁচু করে অকুতোভয়ে জীবনটা কাটাবে,সেটাই কুরআনের মর্মবাণী।
এই জন্য সবচেয়ে প্রথমে দরকার,
সত্যবাদিতা।
চিন্তায়,
বাক্যে
ও কর্মে,
যে সত্য পন্থা অবলম্বন করে,
সেই সত্যবাদী।
সত্যবাদী হলে সততা তার অহংকার।
এই দুটি গুণে গুণান্বিত হতে পারলে অন্যান্য মানবীয় গুণাবলী চুম্বকের মত আকর্ষিত হয়ে,
তার দিকে ধাবিত হয়।

আজ আমরা মিথ্যার আশ্রয়ে জীবন নির্বাহ করতে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। সত্য বলতে বড় ভয়,
কারণ আমরা দায়,
না নিয়ে,
জীবন কাটাতে চাই।
এইজন্য অর্ধসত্য বলা,
আকা বাকা কথা বলে কথার ফুলঝুরি সৃষ্টি করায়,
আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি।
সমাজে যারা আজ সাচ্চা মুসলমান বলে দাবিদার,
তারাও মাঝেমধ্যে,
মিথ্যার আশ্রয় নিতে দ্বিধা বোধ করেন না।

আমাদের নবীকে
আমরা অনেক ভালোবাসি,
যিনি নবুয়ত প্রাপ্তির আগেই মক্কার আমজনতার কাছ থেকে আলামিন উপাধি পেয়েছিলেন, এইজন্য যে তিনি সত্য কথা বলতেন।
আমরা কি ঐ
রঙে নিজেদের রঞ্জিত করতে পারিনা!
এই একটি গুনই সমাজকে আমুলে বদলে দিতে পারে, সোনালী সমাজে রূপান্তরিত করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *