টু আর ইজ ম্যান to err is human
মানুষ মাত্রই ভুল করে,
কেহ ভুলের উর্ধ্বে নয় এবং এটা কোন লজ্জাজনক বিষয় নয়, যখন ভুলটা স্বীকার করে নেওয়া হয়। স্পোর্টিংলি ছোট্ট একটি কথা বলা হয়,
দুঃখিত অথবা
আই এম সরি।
একসময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাংলা অঞ্চলটি বা ভূখণ্ডকটি বুদ্ধিবৃত্তির ক্ষেত্রে, মূল্যবোধের ক্ষেত্রে
একটি অনন্য স্থান দখল করেছিল পৃথিবীর মানচিত্রে।
এই অঞ্চলে একসময় জমিদার শ্রেণীর দাপট থাকলেও, সাধারণ মানুষ তাদের স্বকীয়তা, মূল্যবোধের অহংকার থেকে বিচ্যুত হয় নাই কখনো। এই বাংলা অঞ্চলে বিশাল বিশাল ব্যক্তিদের অধিকারী মানবের জন্ম হয়েছিল, তারা সমাজে মূল্যবোধ ও মানবীয় গুণাবলীর অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছিলেন। অনন্য অসাধারণ সাহিত্য ভান্ডার গড়ে উঠেছিল, কবিদের কলতানে মুখরিত ছিল এই অঞ্চলটি।
সত্যবাদিতা ও সততা বাংলার অধিবাসীর রক্তে রক্তে প্রজ্বলিত ছিল। অসৎ উপার্জনকে ঘৃণার চোখে দেখা হতো এই সমাজে। অল্পতুষ্টির ছিল জয়জয়কার।
শুধুমাত্র সাহিত্য লেখে বা কবিতা লেখে বা প্রুফ রিডিং করে, সামান্য টাকায় হাসিমুখে জীবন অতিবাহিত করতো অনেকে।রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ছিল অসাধারণ স্বচ্ছতা। ছলচাতুরি, টাকাপয়সা বা পদের লোভের রাজনীতির তখন ছিল না।
to err is human, এইরকম একটা সভ্য সমাজে এটা স্বীকার করে নেওয়া হয়। ভুল হলে বা দোষ হলে, sorryবলার প্রবণতা ওই সমাজেই সহজে গড়ে ওঠে। অকাট্য প্রমাণ থাকার পরও যে কোন ঘটনার জন্য ভুল স্বীকার না করে,
অথবা দোষ স্বীকার না করে, নিজের অবস্থান সত্য বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়না।
তখন নানারকম আজগুবি ও অসত্য কৌশল অবলম্বন করা হয়। এতে করে সত্যিকার অর্থে দোষটা তখন অনেকগুন বেড়ে যায়,
সেটাই বোঝার ক্ষমতা অনেকের নেই।
দোষ স্বীকার করার মধ্যে নিজের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে, নিজের অবস্থান সমাজে সুদৃঢ় হয়। এটাই সব সময় প্রশংসনীয়।
একমাত্র শয়তানই ভুলের উর্ধে।