দর্শন
ভূমিষ্ঠ মানব শিশুর চিৎকার—
যেন বলছে,
কেন এই ধরায় আমার আগমন? একদিন যদি হবেই মহাপ্রস্থান!
সূরা দাহরে আল্লাহ বলছেন, “”যুগের পর যুগ, কালের পর কাল অতিবাহিত হয়ে গেছে,
তোমাদের কোন অস্তিত্বই ছিল না।
আমিই তোমাদেরকে দৃষ্টিশক্তি দিয়েছি এবং শ্রবণশক্তি দিয়েছি।””
মানুষ জন্ম নেয়।
শিশু অবস্থায় জীবনের কিছুটা সময় অতিবাহিত করে, যখন সে জন্ম মৃত্যুর রহস্য কিছুই বোঝেনা।
তার অবুঝ মন ভাবে,
এই পৃথিবীতে সে চিরকাল থাকবে হাসি ও আনন্দে, খেলায় মত্ত হয়ে।
চারিদিকে যখন তখন
মৃত্যুর মিছিল দেখে,
কৈশোরে তার মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়,
এ পৃথিবীতে কি তার চিরকালের আবাসস্থল?
পরিণত বয়সে, চল্লিশের কোঠায়, সে মৃত্যুকে ভয় করতে শুরু করে। তার মনে অদম্য ইচ্ছা জাগ্রত হয়, এই পৃথিবীতে চিরকাল বেঁচে থাকা। সে মরতে চায় না, এই পৃথিবী ছেড়ে যেতে চায়না।
কারণ এই পৃথিবীর মায়া তাকে অস্টে- পৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে।
কবি তাই বলেছেন ;
এ পৃথিবী ছেড়ে যেতে নাহি চাই,
তবু চলে যেতে হয়,
তবু চলে যাই।—
এই পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে মানুষ যন্ত্রির হাতে যন্ত্র মাত্র।
যন্ত্রি যে সুর বাজাতে চায়,
যন্ত্রে সেই সুর বেজে ওঠে।
আর যন্ত্র যখন বিদায়ের করুন সুর বেজে ওঠে,
তখন সে এই ধরনী ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয় ।
তখন আরেকদল,
যন্ত্র হাতে পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে প্রবেশ করে।
যতদিন পৃথিবী থাকবে
ততদিন এই পৃথিবীর
রঙ্গমঞ্চে,
আগমন এবং মহাপ্রস্থানের
খেলা চলতেই থাকবে।