মানুষ ভয় পায়, এটা তার মধ্যে মজ্জাগত। শরীরের ভিতরের কোষগুলোতে একটা অজানা আতঙ্ক নিয়ে,ভয় নিয়ে,
হয়তো বা,
অনেক মানুষের সারাটা জীবন কেটে যায়।
জন্মই আমার আজন্ম পাপ —আতঙ্কিত শিশুর কান্না অথবা দিশেহারা বৃদ্ধের আহাজারি।
আতঙ্কিত মানুষ জীবনের পদে পদে দেখতে পায় পিচাশের ছায়া।
দৃশ্যমান কিছু থেকে,
আমরা অদৃশ্য কিছুকে বেশি ভয় পাই।
আমরা ভুত-প্রেত বিশ্বাস না করলেও ভয় পাই,
কারন ওরা অশরীরী।
আমাদের কাছে আমাদের ভবিষ্যৎ অজানা।
কালকে কি হবে,
আমরা জানি না।
তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয়।
জীবন -নৌকা ভরে গেছে অফুরন্ত ভান্ডারে,
,তবুও নিকট ভবিষ্যৎ নিয়ে উৎকণ্ঠা ও
মনের ভিতরে ভয়।
জীবিকার ভয়, প্রতিষ্ঠিত হবার ভয়, অর্থ-সম্পদ হারানোর ভয়,সন্তান নিয়ে ভয়—
কিছু নাই,
এইজন্য ভয়,
আবার অনেক কিছু আছে, এইজন্যও ভয়।
মনের ভিতরে,
সুপ্ত সবচেয়ে বড় ভয়,
আমার গন্তব্য কোথায়,
কোন অজানায়?
অস্তিত্বহীন থেকে আমি অস্তিত্ব লাভ করেছি,
জীবনের ওপারে গিয়ে নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে কি,
আমি বেঁচে থাকবো অনন্ত কাল?
না,
মহাসৃষ্টির অস্তিত্বের কাছে হয়ে যাব বিলীন!
এই ভয়টাও মনটাকে কুড়ে কুড়ে খায়, উইপোকার মত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *