আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতেই পারে
সামাজিক ব্যাপারে মতপার্থক্য,
রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে মতপার্থক্য, নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে মতপার্থক্য,
ধর্মীয় ব্যাপারে মতপার্থক্য, থাকতেই পারে,
এটাই স্বাভাবিক।
একই রকম ভাবনা নিয়ে একটি সমাজ ব্যক্তি বা একটি রাষ্ট্র বা একটি গোষ্ঠী পরিচালিত হয় না।
মতপার্থক্য বা বিতর্ক,
যদি না থাকে, একটি সমাজ বা একটি রাষ্ট্র দিকনির্দেশনা হারিয়ে ফেলতে পারে।
সুস্থ তর্ক-বিতর্কও সমালোচনা,
সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে সক্ষম।
ব্যক্তিগত জীবনে যেমন এটা দরকার,
সেরকম সমাজ জীবনে ও
রাষ্ট্রীয় জীবনেও এমনটা জরুরী।
আমরা যখন আড্ডা মারি অথবা নিজেরা খোলাখুলি আলোচনা করি,
চায়ের কাপে ঝড় তুলি,
তখন বক্তব্য,
প্রসঙ্গ থেকে অন্য প্রসঙ্গে চলে যায় এবং মুখ দিয়ে বেফাস কোথাও বের হয়ে পড়ে।
কিন্তু চায়ের কাপে ঝড়,
আড্ডা শেষ হবার সাথে সাথেই
দাফন হয়ে যায়। সাধারণত ওটার কোন রেফারেন্সও থাকে না।
*★কিন্তু চায়ের কাপে ঝড়ের মতো আমরা প্রকাশ্যে বা কোন ভার্চুয়াল মিডিয়াতে অথবা কোন অনুষ্ঠানে বেফাঁস কথা বলতে পারি না।★
অন্যের অনুভূতিতে আঘাত করতে পারি না।
,সরকারের সমালোচনা করতে পারি কিন্তু রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারি না।
সরকারের সমালোচনা করা গণতান্ত্রিক অধিকার,
একটা সাধারণ ব্যাপার।
কিন্তু অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আমরা এমন কোন কথা না বলি,
★যা রাষ্ট্রের কাঠামোতে আঘাত করে। *★
উদাহরণস্বরূপ বলি 2010 এ বোধ হয়,
ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের একটি সমাপনী অনুষ্ঠানে বিরোধী দলের নেত্রী রওশন এরশাদ আমন্ত্রিত ছিলেন। ওই ব্যাপারে তখন ঢাকা সেন্টারের সভায় তুমুল তর্ক বিতর্ক হয় এবং অধিকাংশ রওশন এরশাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং ঐ সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ না দেবার সিদ্ধান্ত হয়।
ওই সময় আমি একটি জোরালো বক্তব্য দেই, বিরোধীদলীয় নেতা যেই হোক,
সে রওশন এরশাদই হোক অথবা অন্য যে কেউ হোক,
আমরা তাকে স্বীকার করতে বাধ্য। তাকে অস্বীকার করা,
রাষ্ট্রীয় কাঠামো কে অস্বীকার করার সমতুল্য হবে।
আমরা কোন অবস্থায়ই রাষ্ট্রের কাঠামোকে আঘাত করতে পারিনা।
আমার বক্তব্যের গুরুতত্ত্ব বুঝার পর তখনকার ঢাকা সেন্টারের সভাপতি মোহসিন সাহেব নিজের অনড় অবস্থান থেকে সরে আসেন।