তকদির!
একটা জটিল শব্দ।
একটা দুর্বোধ্য শব্দ।
তবে আমরা ঐ শব্দগুলোর কোনোটা বা কোনোটা উল্লেখ করি।
সাধারণভাবে প্রচলিত জন্ম-মৃত্যু-বিবাহ, এগুলো তকদির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
তার মানে দাঁড়ায়, মানবের অন্যান্য কর্মকাণ্ড তকদির এর অন্তর্ভুক্ত নয়। অথবা তকদিরের বাহিরে।
এটাকি সম্ভব? লেজ ধরে টান দিলে মাথাও আসে!
যদি তকদিরে লেখা থাকে কারো মৃত্যু নৌকাডুবিতে হবে,
তবে তাকে তো নৌকাতে উঠতে হবে। সে যে নৌকা পর্যন্ত যাবে এবং নৌকায় উঠবে,
এটা কি তকদিরের অংশ নয়?

তাহলে আমরা কি বুঝতে পারছি? তকদির বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় নয়। মানুষের জীবনের সমস্ত কর্মকাণ্ড তকদির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
অন্যান্য ধর্মেও তকদিরের ব্যাপারটা ভিন্ন নামে আছে।
যেমন কপাল-লিখন, বিধির বিধান অথবা নিয়তি।
তবে নেতিবাচক ঘটনার ক্ষেত্রেই কেবল নিয়তি কথাটা উল্লেখ করা হয়। তাই এই শব্দ টা পরিপূর্ণভাবে অর্থবোধক নয়।

কিন্তু ঐশী বাণী নিম্নরূপ ;

জলে স্থলের বিপর্যয় মানুষের হাতের কামাই।
যেখানে চেষ্টা ওপরিশ্রম থাকে না সেখানে আল্লাহ ও থাকেন না।

এখানে কি তকদির কিছুটা থমকে দাঁড়ালো?

মসজিদে একদল সাহাবা তকদির নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করছিলেন। রাসুলুল্লাহ সঃ তাদের ধমক দিয়েছিলেন ও তকদির নিয়ে বেশি বেশি কথা বলা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।
একটা অত্যন্ত সংবেদনশীল কথা বলার জন্য, আমি তকদির প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছি।

আমরা যখন হেরে যাই অথবা
কোন কর্মকান্ড করতে গিয়ে অসফল হই,তখন তকদিরের উপর দোষ চাপিয়ে দেই।নিজে কোনো দায় নিতে চাই না।
বলতে গেলে আজ বিশ্বের প্রায় সমস্ত মুসলিম উম্মাহ তাগুদ শক্তির কাছে পরাজিত। আমরা তাগুদের কুটকৌশল বুঝতে পারিনা। কিন্তু তকদিরের দোহাই দিয়ে আমরা আমাদের কৌশলও পরিবর্তন করি না, তাগুতের কুটকৌশল কে প্রতিহত করার জন্য প্রয়োজনীয় কুটকৌশল রপ্ত করার চেষ্টা ও করিনা।
আমরাভাবি,
আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করেছি, তাই আমাদের কোন দায় নেই।
তকদিরে লেখা আমরা কিভাবে খন্ডাবো???

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *