আল্লাহর ইচ্ছা ও সন্তোষ ,আল্লাহ ইচ্ছা ও অসন্তোষ – ০১ পর্ব
কোরআনের দৃষ্টিতে আল্লাহর ইচ্ছা এবং তাহার সন্তোষ, এই দুয়ের মাঝে বিরাট পার্থক্য বিদ্যমান। এই পার্থক্যকে উপেক্ষা করলে সাধারণভাবে মারাত্মক ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হইবে। আল্লাহর ইচ্ছা এবং তাহার অনুমতিক্রমে কোন কিছু সংঘটিত হওয়ার অনিবার্য অর্থ এই নয়
যে, আল্লাহ অবশ্যই তাতে রাজি- খুশি আছেন ওতিনি তা পছন্দ করেন।
বস্তুতঃ আল্লাহ কোন ঘটনার অনুমতি না দিলে,
তাহার বিরাট পরিকল্পনার মধ্যে উহার সংঘটিত হইবার অবকাশ রাখা না হইলে,
উপায় উপাদানসমূহকে উহার সংঘটিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ ওঅনুপাতে সাহায্যকারী বানাইয়া না দিলে, কোন ঘটনাই কোন সময়ে সংঘটিত হতে পারবে না।
চোরের চৌর্যবৃত্তি, হত্যাকারীর হত্যাকান্ড, বিপর্যয়কারী জুলুম ও বিপর্যয় এবং কাফির-মুশরিকদের কুফরী ও শিরক,
আল্লাহর ইচ্ছা বা অনুমতি ব্যতীত হওয়া সম্ভব নয়।
অনুরূপভাবে কোন মুমিন বা মুত্তাকী মানুষের ঈমান ও তাকওয়া,
আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতিত অসম্ভব।
উভয় প্রকারের ঘটনায় সমানভাবে আল্লাহ ইচ্ছায় সংগঠিত হইয়া থাকে,
কিন্তু প্রথম প্রকার ঘটনায়, আল্লাহ রাজি -খুশি থাকেন না।
পক্ষান্তরে দ্বিতীয় প্রকারের ঘটনায় থাকে,
আল্লাহর সন্তোষ ও ভালোবাসা।
যদিও শেষ পর্যন্ত কোনো বিরাট কল্যাণের জন্যই বিশ্ব-জাহানের সৃষ্টিকর্তাও পরিচালকের পরিচালনায় ইচ্ছা কাজ করিতেছে। কিন্তু কল্যাণের আত্মবিকাশের পথ, আলো অন্ধকার, ভালো-মন্দ, সংশোধনী, বিভিন্ন শক্তির পারস্পারিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা ও সংঘর্ষ এর মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে ওঠে।
আমরাতো এই ভাবেই চিরদিন মানুষ শয়তান আর জিন শয়তান কে প্রত্যেক নবীর দুশমন বানাইয়া দিয়েছি,
ইহারা পরস্পরের কাছে মনমুগ্ধকর কথা ধোকা ও প্রতারণার ছলে বলিতে থাকে, তাহারা এইরূপ করিবে না —ইহাই তোমার রবের ইচ্ছা হইতো,
তবে তাহারা এইরূপ কখনো করিত না।
অতএব তুমি তাহাদিগকে তাদের অবস্থাতেই ছাড়িয়া দাও,
তাহারা মিথ্যা রচনার কাজে লিপ্ত হইয়াই থাকুক।
—-সূরা আল- আনআম