আহসানুল্লাহ হলের স্মৃতিকথা ওহাজতবাস (দ্বিতীয় পর্ব)
—গোলাম মোহাম্মদ খান ফারুক
প্রথম বর্ষের মাঝামাঝি সময়ে আনসার রাশিয়ান স্কলারশিপ
পেয়ে গেল। যথারীতি নির্দিষ্ট দিনে সি অফ করতে, আমি জামাল বিশ্বাসও হক ভাই,তেজগা এয়ারপোর্টে গেলাম । আনসারকে সি অফ করে
আমরা দু তলার ক্যান্টিনে বসলাম। আমরা চায়ের সাথে কিছু একটা নাস্তা করছিলাম।হঠাৎ কাউন্টার এর কাছে বেশ জটলাও হইচই শুনলাম এবং কিছু আর্মিও দেখা গেল । ওইসব উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে আমি সাধারণত নিজে কখনো জড়াতে চাই না, সতর্ক অবস্থানে থাকি।কিন্তু জামাল বিশ্বাস আমার কথা না শুনে, জটলার দিকে এগিয়ে গেল বীরদর্পে। বিষয়টা আমার কাছে সুবিধার মনে হচ্ছিল না। হঠাৎ দেখলাম একজন আর্মি জামালের দিকে স্টেনগান তাক করে আছে। মুহূর্তে বুঝে গেলাম জামাল বড় ধরনের বিপদের মধ্যে পড়ে গেছে। অবস্থা বেগতিক দেখে হক ভাই তড়িঘড়ি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করল। অমনটা করতে আমার মন সায় দিল না। দূর থেকে জামাল,
ফারুক ফারুক বলে চিৎকার করছিল ভয়ার্ত কন্ঠে। আমি আরষ্ট হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ একজন আর্মি আমার দিকে আসলো ও স্টেনগান তাক করল।
জামাল আমাকে ইশারা করে, ডাকছিল,সেটা বুঝতে পেরেছিল।
তখন সন্ধ্যা প্রায় প্রায়,
এয়ারপোর্ট কিছুটা আঁধারে ঢেকে যাচ্ছিল। আর্মি আরও চারজনকে এরেস্ট করলো। পরে জেনেছিলাম দুজন ঢাকা ইউনিভার্সিটির, ফিজিকস ডিপার্টমেন্টের, দুজন তেজগাঁ এর,।এই দুজনই মাস্তান —এরাই দলবল নিয়ে দু’ঘণ্টা আগে এয়ারপোর্টে বড় ধরনের ঝামেলা সৃষ্টি করেছিল,
একজন সিভিল ড্রেসের আর্মি কে মারপিট করেছিল.।
ফলশ্রুতিতে আর্মি এসে এখন আমাদের ছয়জন কে এরেস্ট করে জিপে তুলল।
চলবে—