মূল্যবোধের অকালে দিশেহারা সমাজ
এখনকার সমাজে মূল্যবোধের
বিলুপ্তি সাধন হতে চলেছে । সমাজটার কোন স্ট্যান্ডার্ড নাই।কোন মাপ কাঠি দিয়ে, বা নিক্তির তুলাদন্ডে এর তুলনা করা সম্ভব নয়। সুপারনোভার সাথে সাথে একটি নক্ষত্র বিস্ফোরিত হয়ে খান খান হয়ে যায়, এই সমাজটার অবস্থা তদ্রূপ।
জাহেলিয়াতের যুগে যেনা ব্যভিচার হত্যা কোন কিছুরই কমতি ছিল না। মারামারি হানাহানি কাটাকাটি সদা বিদ্যমান ছিল। তবুও সব কিছুর মাঝেও তাদের একটা অলিখিত নৈতিক মানদণ্ড ছিল। বিশ্বাসঘাতকতা , পিছন থেকে ছুরি মারা, মুনাফেকি স্বভাব তাদের মধ্যে ছিল না। কোথাও যেন একটা মূল্যবোধে সীমারেখা ছিল।
এখনকার সমাজে সমস্ত নৈতিকতা সমস্ত মূল্যবোধকে ধ্বংস করে দিয়ে, যা ইচ্ছা তা করার প্রবণতা চলে এসেছে।
সমাজের মাথায় পচন ধরেছে।শিক্ষার মর্যাদা হারিয়ে গিয়েছে। এখন শিক্ষা ও একটা ব্যবসা মাত্র।
শিক্ষা-দীক্ষার কোনো মর্যাদা নেই। মর্যাদা টাকার।অর্থবিত্ত দিয়ে মান-সম্মান কেনা যাচ্ছে,সমাজপতি হওয়া যাচ্ছে । তাই প্রায় সকলেই টাকার পিছনে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটছে এবং যেনতেনভাবে টাকা অর্জনের চেষ্টায় প্রতিনিয়ত ফন্দি-ফিকিরে ব্যস্ত।
আগেকার সমাজ, অবৈধভাবে অর্থ-সম্পদ অর্জনকারীদের দিকে ঘৃণার দৃষ্টি দিত। এখন তারা টাকা দিয়ে সম্মান সূচক উপাধি ও কিনতে পারে।
এ সমাজে শিক্ষক হয়ে গেছে ভক্ষক, তার মধ্যেও মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটেছে। আগেকার সমাজে শিক্ষকরা মর্যাদাবান ছিল, ছাত্ররা তাদেরকে পিতৃতুল্য শ্রদ্ধা করত।
তখনকার সমাজে বিজ্ঞ ও শিক্ষিত সম্প্রদায়ের প্রভাব ছিল সুস্পষ্ট। নৌকার দাঁড় এর মত তারা সমাজটাকে পরিচালনা করতেন। যারা মন্দও অসৎ কাজকে বাধা দিতেন।
যে সমাজে জাস্টিস থাকেনা, ন্যায়বিচার থাকেনা, যে সমাজে অসৎ কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী নাই ;
সে-সমাজ কান্ডারী বিহীন নৌকার মত দোদুল্যমান।
তাই সমাজটা নক্ষত্রের সুপারনোভার মতো খান খান হয়ে ধ্বংস হবার অপেক্ষায় মাত্র,যদি না,অলৌকিক ভাবে কোন উদ্ধারকর্তা বা Ridimer এগিয়ে আসে ।