ইসলাম গ্রহণের পূর্বে ওকাম নামক স্থানে,

যেখানে বিষয়- বিশেষজ্ঞদের বার্ষিক সমাবেশ হতো এবং এক বিরাট মেলা বসতো,

সেখানে মল্ল-যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতেন।

তাকে আরবের অন্যতম বিখ্যাত মল্লযুদ্ধ হিসেবে গণ্য করা হতো।

তিনি এতই পারদর্শী ছিলেন যে এক লাফে ঘোড়ার ওপর সাওয়ার হয়ে স্থির হয়ে বসে থাকতেন এবং তার দেহ এদিক-ওদিক হতো না।

রসূলুল্লাহর, নবুওয়াত প্রকাশের সময় কুরাইশ বংশের ১৭ জন লোক লেখাপড়া জানতেন,

হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব রাঃ

ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম।

৪৯ জন পুরুষও ১১ জন মহিলার পর তিনি

ইসলাম গ্রহণ করেন।

তিনি সাবিকিন ও আশারায়ে মুবাশশারা,অন্যতম।

ইসলাম গ্রহণের অগ্রবর্তী নেতৃবৃন্দরা। সাবিকিন।

জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশজন ব্যক্তি। আশরায়ে মুবাশশারা।

হযরত ওমর প্রতিটি যুদ্ধে হযরত সাঃ সাথে ছিলেন এবং উহুদ যুদ্ধে তিনি স্বীয় স্থানে অটল থাকেন।

রাসুলুল্লাহ সাঃ

বলেন,

আমি স্বপ্নে দেখলাম একটি স্ত্রীলোক জান্নাতের একটি প্রসাদের পাশে বসে আছে।

আমি জিজ্ঞেস করলাম প্রসাদ টি কার,?

জানতে পারলাম এটা ওমরের।

আরেকবার আমি স্বপ্নে দেখলাম,

একটি আমি দুধ পান করছি এবং তার সজীবতা আমার নখ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।

তারপর দুধ,

আমি শুধু ওমরকে দিলাম।

লোকেরা জিজ্ঞেস করল হযরত,

এর ব্যাখ্যা কি?

উত্তর দিলেন,

,দুধ মানে

জ্ঞান।

হযরত সাঃ,

ওমরকে জানালেন ;

তুমি যে রাস্তা দিয়ে যাবে শয়তান কখনো সে রাস্তা পাড়াতে পারবে না বরং সে অন্য রাস্তা ধরবে।

ওমর জান্নাতবাসীদের মধ্যে উজ্জ্বল প্রদীপ।

আরো বললেন ,

ওমর যতক্ষণ তোমাদের মধ্যে থাকবে ততক্ষণ বাহুল্য ওবাড়াবাড়ি দরজা বন্ধ থাকবে।

নবীজির ঘোষণা দেন

আসমানের সমস্ত ফেরেশতা ওমর রাঃ কে সমীহ করে এবং জমিনের প্রত্যেকটি শয়তান তাকে ভয় করে।

হযরত ওমরের গায়ের রং, সাদা লাল মিশ্রিত লালের ভাগ বেশি।

তার মা ছিলো আবু জেহেলের বোন। তিনি আবু জাহেলকে মামা বলে ডাকতেন।

হযরত ওমর রাঃ, খেলাফতের বায়াত গ্রহণের পর তিনদিন যাবৎ মানুষের কে জিহাদের পথে আহবান জানান।

খেলাফতের প্রথম দিন,

খালিদ বিন ওয়ালিদের পদচ্যুতি করেন ।

এতে জনগণ খুশি ছিল না।

তাই তিন দিন যাবত জিহাদের ব্যাপারে কেউ আগ্রহ প্রকাশ করে নাই।

চতুর্থ দিন অনেকের মধ্যে আগ্রহ প্রকাশ হয় এবং ইরাকের জন্য একটি বাহিনী গড়ে ওঠে।

হযরত আবু উবাইদা ইবন মাসুদ কে নেতা মনোনীত করা হয়।

ওমরের প্রথম স্ত্রী ছিলেন হযরত যয়নব বিনতে মাজউন।জাহিলি যুগে তাদের বিবাহ হয়েছিল।

হযরত জয়নব মক্কায় ইসলাম গ্রহণ করেন এবং সেখানে ইন্তেকাল করেন।

হযরত ওমর তার স্ত্রী মালিকা বিনতে জারুল কে তালাক দেন যেহেতু ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নাই।

ওমরের তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন কারিবা বিনতে আবু সুমাইয়া। জাহেলী যুগে হয়েছিল এ বিয়ে।

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ না করায় হুদায়বিয়ার সন্ধির পর

তাকেও

তালাক দেন।

চতুর্থ স্ত্রী উম্মে হাকীম বিনতে হারাছ।

এ বিয়ে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর ইসলাম গ্রহণের পর হয়েছিল।

হযরত ওমর একটি পয়সাও অযথা খরচ করতেন না এবং অপরকেও অপব্যায় করার অনুমতি দিতেন না।

সকল মুসলমানকে সমভাবে ভালোবাসতেন।

দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দিতেন,

যে বর্ণের হোক না কেন ,

যে গোত্রের হোক না কেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *