ঘূর্ণি বায়ুর মাধ্যমে যে ধুলাবালির কুণ্ডলী সৃষ্টি হয়,

তা ভূপৃষ্ঠ হতে একটি মিনারের আকারে ঘুরিতে ঘুরিতে অগ্রসর হতে থাকে,

যার এ সম্বন্ধে জ্ঞান নাই,

প্রথম দর্শনে তার

মনে হইবে ধুলোবালি বোধহয় আপনা হইতেই ঘোরপ্যাঁচ খাইয়া এমন ভাবে অগ্রসর হইতেছে।

আসলে এখানে বাতাসের মাধ্যমে ও বাতাসের শক্তিতে ধূলিকণার এই অবস্থা হয়েছে।

বাতাস দেখা যায় না,

তাই কার্যত মনে হয় ধূলিকণায এখানে সবকিছুর কারণ।

কিন্তু ধূলিকণা নিজের ইচ্ছায় বা শক্তিতে নয়,

বাতাসের শক্তি ও গতিসম্পন্ন অধীন হইয়া ঘুরতে যাইতে বাধ্য হইতেছে।

এখানে বাতাসের কোনো অস্তিত্বই চোখে পড়তেছে না।

উপরোক্ত বর্ণনা আলোকে শরীর ও রুহের বিষয়টি বোঝা যেতে পারে।

ধূলিকণার মত,

দেহ বা শরীর,

হলো আজ্ঞাবহ দাস।

রুহ অদৃশ্য বাতাসের মতো।

রুহ অস্তিত্ববিহীন রূপে অস্তিত্ববান।

শরীর রুহকে ধারণ করে মাত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *