আল্লাহ্হীন নীতি দর্শন
প্রথম পর্ব
এই পৃথিবীতে যেদিন থেকে মানুষ বসবাস শুরু করেছে —–যেদিন থেকে মানুষের মন,চিন্তা ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ শুরু করেছে, সেদিন থেকেই মানুষের নৈতিকতার প্রশ্ন উঠেছে।
কেননা নৈতিকতা মানুষের কাজের সাথে সম্পর্কিত। মানুষ
যতদিন পর্যন্ত আল্লাহর হেদায়েত অনুযায়ী কাজ করেছে ততদিন মানুষের নৈতিক সত্তা, তার পাশবিক সত্তার উপর বিজয়ী হয়ে রয়েছে,
মানুষের চলার পথ উজ্জ্বলও উদ্ভাসিত হয়েছে।
সে আলোকিত পথে চলে মানুষ শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে লক্ষ বস্তুর দিকে ধাবিত হয়েছে।
কিন্তু যেদিন থেকে সে আল্লাহর হেদায়াত ভুলে গেছে, সেদিন থেকেই জীবন পথ অনির্দিষ্টও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বস্তুত জীবন লক্ষ্যটাই হারিয়ে ফেলেছে,
এমনকি তার জীবন লক্ষ কি, তাও অনির্দিষ্ট ও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ।
এই সময় সে আবেগ, কামনা-বাসনা, সংবেদন , পর্যবেক্ষণ ও বিবেক-বুদ্ধির দাসত্ব -শৃঙ্খলেবন্দী হয়ে পড়েছে।তার পাশবিক সত্তা, মানবিক সত্তার উপর বিজয়ী হয়ে উঠেছে।
পরিনামের সে মনুষ্যত্বের উচ্চতার মর্যাদা, সত্যের উত্তম মর্যাদা হারিয়ে পাশবিকতার নিম্নপর্যায়ের পতিত হয়েছে।
সেই সময় থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত নীতিশাস্ত্রবীদও দার্শনিকগণ এসব প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা- পর্যালোচনা চালিয়ে এসেছেন। কিন্তু এসব প্রশ্নের সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট ও প্রত্যয় পূর্ণ জবাব আজও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
বিবেক-বুদ্ধি ভিত্তিক দর্শন যে মানবীয় নৈতিকতার গ্রন্থিমোচন বা জটিলতা উন্মুক্ত করতে সমর্থ নয়,
তা কোনদিনই পারবে না, সেটাই এখানে সুস্পষ্ট করা হচ্ছে।