কোরআনের বাংলা অনুবাদ কিছু তথ্য
কুরআনের প্রথম অনুবাদক মাওলানা আমিরুদ্দিন বসুনিয়া কুরআনের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করে যেতে পারেন নাই।
পরবর্তী সময়ের গিরিশচন্দ্র সেন এর পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ কর্ম যেটা তখন বাজারে প্রচলিত ছিল,
তাও ছিল নানা দোষে দুষ্ট। তাই তার অনুবাদের মাত্র দু’বছরে ভেতরে কুরআনের বিশ্বস্ত ও পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ কর্ম নিয়ে হাজির হয়েছেন বিখ্যাত কোরআন গবেষক মাওলানা নাঈমুদ্দিন।
এর আগে কলকাতার একজন ইংরেজ পাদ্রী ও কুরআনের অনুবাদ করেছিলেন।
শোনা যায়,
মাওলানা আমিরুদ্দিন বসুনিয়া থেকে গিরিশচন্দ্র সেন পর্যন্ত অর্থাৎ ১৮০৮ থেকে ১৮৮৫ সালের মধ্যে আরও নয় ব্যক্তি কোরআন অনুবাদ করেছেন।
এই উপমহাদেশে
বাংলা কুরআনের অনুবাদ এর কাজ আসলেই অনেক দেরিতে শুরু হয়েছে।
এর পিছনে কারণ ছিল অনেক। প্রথমত ঃ
আমাদের এই ভূখণ্ডে যারা কোরআনের এলেমের সাথে পরিচিত ছিলেন,
সেসব কোরআন সাধকের অনেকেরই কোরআন শিক্ষা কেন্দ্র ছিল ভারতের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি প্রতিষ্ঠান দেয়ব্নধ,
সাহারানপুর,
নদওয়া,
জামিয়াতুল ফালা হ,জামেয়াতুল এসলাহ,
এসব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
এর সব কয়টি ভাষাই ছিল উর্দু বা ফার্সি।
তাই স্বাভাবিকভাবে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে যারা উচ্চতর সনদ নিয়ে বের হন,
তাদের কোরআন গবেষণার পরিমণ্ডলে বর্ণিত
ভাষার বাইরে ছড়াতে পারেনি।
পলাশের ট্র্যাজিডির ফলে আমাদের এই অঞ্চলে কোরআন গবেষণার কাজ নানাভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছিল,
ফলে বাংলা ওআসামে কুরআনের কোন অনুবাদ হয়নি।
তৃতীয় কারণ বাংলা মুদ্রণ যন্ত্র।
১৭৭৭সালে মুদ্রণ যন্ত্র আবিষ্কার হলেও এ অঞ্চলের মুসলমানরা ১৮১৫ এর আগে
বাংলা মুদ্রণ যন্ত্র সাথে পরিচিত হবার সুযোগ পাননি।