তাকওয়া শব্দের অর্থ বিরত থাকা, পরিহার করা,

বর্জন করা বা আত্মরক্ষা করা।

আখেরাতের ক্ষতিকর সমস্ত বিষয় হতে নিজেকে দূরে রাখার নামই তাকওয়া।

তকওয়ামন্ডিত লোক অল্পে তুষ্ট থাকে এবং

কোরআন হাদিস অনুযায়ী জীবন-যাপন করে এবং সব সময় মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকে।

তাকওয়ার এমন একটি অনুভূতি বা সচেতনতা,

যার মাধ্যমে মুমিন ব্যক্তি প্রতিটি মুহূর্ত,

কি ভালো কি মন্দ,

অনুভব করতে পারে অন্তরে।

তাকওয়া হচ্ছে আল্লাহর প্রতিটি কাজে একান্তভাবে বাধ্য থাকা। (obedience)

মনের মধ্যে সর্বদা আল্লাহ- ভীতি লালন করা।( Fear)

সর্বক্ষণ স্মরণে আল্লাহকে রাখা। (Remembrance)

সুরা বাকারার ১৮৩ আয়াতে, আল্লাহ বলেছেন,

তোমাদের জন্য রোযা ফরয করা হল যেমনটি করা হয়েছিল পূর্ববর্তী উম্মতের জন্য, আশা করা যায় তোমরা তাকওয়া অর্জন করবে।

রোজার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন সম্ভব।

কিভাবে তাকওয়া অর্জন সম্ভব?

মানুষের মধ্যে সব সময় দুইটি সত্তা কাজ করে ;

একটি হল মনুষ্যত্ব,

আরেকটি এর সম্পূর্ণ বিপরীত।

একটি সত্তা ভালো কাজের হুকুম দেয় ,

দ্বিতীয়টি মন্দ কাজের প্রলোভন দেখায়।

এই মনুষ্যত্ব বা ভালো কাজে হুকুমদাতা হচ্ছে অন্তরের খুদি। ( Khudi)

খারাপ কাজের মদদ দাতা হচ্ছে নফস্।

খুদী হচ্ছে আমার আমিত্ব,

আমার প্রকৃত সত্তা।

Self,personality ,individuality,

ইত্যাদির সরুপ হচ্ছে খুদী(khudi)

যার যত বেশি খুদী (khudi),

সে ততো বেশি পরিপূর্ণ মানুষ এবং আল্লাহর নিকটবর্তী ।

মানুষের অন্তরের খুদী কমতে থাকলে,

আল্লার সাথে দূরত্ব বাড়তে থাকে।

রমজান মাসে রোজা পালনের সাথে সাথে মানুষের অন্তরের খুদী শক্তিশালী হয় এবং এর প্রভাবে পরবর্তী ১১ মাস তাকওয়া মধ্যে থাকতে পারে ।

রোজার মধ্যে মুসলমান সর্বক্ষণ ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের মধ্যে লিপ্ত থাকে,

এর মাধ্যমে ভিতরের নফস্ বা পশুশক্তি দুর্বল থেকে দুর্বলতর হতে শুরু করে।

রোজায় মুসলমান,

মন্দ বা নেতিবাচক আচরনে থেকে নিজেকে বিরত রাখে কারণ তার খুদী তাকে এটা করতে দেয় না।

মন্দ কাজের কুমন্ত্রণা থাকা সত্ত্বেও,

নফস্ পরাজিত হতে হতে দুর্বল হয়ে যায়।

এভাবে 30 দিন মানুষের অন্তরের
মন্দ শক্তি বা পশুত্ব,
বার বার ভালো শক্তি বা মনুষ্যত্বের
কাছে পরাজিত হয়|

খুদির কাছে পরাজিত হয়,

এভাবে রোজাদার ব্যক্তি তাকওয়া অর্জন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *