(সংগ্রহ সম্পাদনা)

১৮৫৭ মহা বিপ্লব ইংরেজরা কাগজ দমন করলে বিপ্লবের স্রোতধারা কিন্তু থামানো যায়নি।
১৮৫৯ হতে ১৮৬১ পর্যন্ত আরেকটি বিপ্লবের কথা ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য সেটা হচ্ছে নীল বিদ্রোহ।
পৃথিবীতে বহু রাষ্ট্রে হয়ে থাকে কিন্তু অনেকের মতে ভারতের নীল ,
সব দেশ থেকে অধিক জনপ্রিয় ছিল। বঙ্গদেশে বোনাদ নামে একজন বিদেশী লোক সর্বপ্রথম নীল চাষ করেন হুগলি জেলার তালাডাঙ্গায় প্রথম নীল কুঠি তৈরি হয় ,পরে চন্দননগরের কাছে গন্দলপাড়ায় কুঠি শরিয়া আনা হয় ।
এ সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ইংরেজ নয়করা বঙ্গ দেশে ব্যাপক নীল চাষের পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
বঙ্গদেশে ,
সাহেবরা এত বেশি নীলকুঠি তৈরি করল যে তাতে মনে হল, ধান ও পাটের চাষ বন্ধ করে শুধু নীল চাষী করতে চায় শ্বেতাঙ্গ দল। পূর্ব বঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় নীলকুঠি তৈরি হলো। যে জেলায় নীল চাষ হতো সে দেশের চাষীরা দরিদ্রের শিকার হতে শুরু করল। আর দুর্ভিকে অনশনে অর্ধ আহারে মারা গেছে লক্ষ লক্ষ মানুষ।
ইংরেজরা বিভিন্ন কৌশলে জমি চিহ্নিত করে তাতে নীল চাষ করতে বাধ্য করত কৃষকদের। অত্যাচার করার জন্য এবং বাধ্য করার জন্য একদল মারকুট বাহিনী বা লাঠিয়াল বাহিনী পোষা হতো।
জোর করে তারা গরিব চাষীকে দারুন দিত দাদুন মানে চাষ করার সাহায্য বাবদ অগ্রিম ঋণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *