মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি
গতকাল একটা প্রতিবেদন লিখেছিলাম বয়স বয়সের খেলা। ব্যাংকের কাউন্টারের বয়স্কা ও অসুন্দরী মহিলাদের বক্রতা পূর্ণ ব্যবহার নিয়ে।
অসুন্দরী বয়স্কা মহিলা ডাক্তারদের ক্ষেত্রে ওরকম টাই অভিজ্ঞতা।
এবার আজকের ঘটনায় আসি।
গত সাত দশ দিন যাবত স্ট্যান্ড চার্টার্ড ব্যাংকে বারবার যেতে হচ্ছে। কিছু হেভি ট্রানজেকশন এর বিপরীতে কিছু কাগজপত্র জমা দেওয়া প্রসঙ্গে।
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখার ,লেবএইড হসপিটালে পাশের ব্রাঞ্চটিতে গত তিনদিন আগে ০৪নম্বর কাউন্টারে কিছু কাগজপত্র জমা দিয়েছিলাম।
গতকাল আবারও গিয়েছি আরো কিছু জমা দেওয়ার জন্য
কিন্তু আমাকে পাঁচ নম্বর কাউন্টারে দেখা করতে হলো।
ঐ মহিলার অভদ্র আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বয়স বয়সের খেলার প্রতিবেদনটি লিখেছিলাম।ঐ মহিলা কাগজপত্র জমা নেন নাই, অনর্থক ছোটখাটো ঝামেলা তৈরি করে বলল,,
আগামীকাল আসুন।
যাইহোক আজ সকাল ৯ টার আগেই ব্যাংকে পৌঁছে গেলাম।। ব্যাংক তো খুলবে ৯ টা এখনো ১৫ মিনিট বাকি।
তাই পাশের লেব,এইবেড হসপিটালে গিয়ে লাউঞ্জের ক্যান্টিনে বসে পড়লাম।
নাস্তা বাবদ কেবল বার্গার আর সুরমা। তাই কিছুই না খেয়ে
পদ্মা ব্রিজের রূপকার এর উপর লেখা
কবিতাটা এডিট করা শুরু করলাম।
9 টা বেজে দশ মিনিটে
ব্যাংকে ঢুকলাম এবং টোকেন চাইলাম। আবার সেই পাঁচ নাম্বার নম্বর কাউন্টারেই যেতে হবে। আবার সেই অভদ্র মহিলা
আমি ওই কাউন্টারে না গিয়ে, সোফায় বসে চিন্তা করতে লাগলাম। আমার সাথে থাকা কাগজপত্র গুলো ঘাটাঘাটি করছিলাম।
এমন সময় এক সুদর্শন যুবক এসে আমাকে জিজ্ঞেস করল, আপনি কি সাহায্য করতে পারি! পরিচয় দিলেন।
উনি এই ব্যাংকের ম্যানেজার। দোতলায় প্রায়োরিটি সেকশনে উনার রুম ,তাই ওনাকে দেখি নাই আগে।
আমি আমার বক্তব্য পরিষ্কার করে বললাম ।
আমার লেখা একটা নাতি দীর্ঘ চিঠি দেখলাম,
এবং কাউন্টার গুলোতে ভালো ব্যবহার পাচ্ছিনা
সেগুলো ও বললাম।
ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আমার সব কথা গভীরভাবে শুনলেন এবং আমার সাথে বাক্য বিনিময় করলেন এবং
ওনি নিজেই আমার চিঠিও কাগজপত্রগুলা রিসিভ করে রাখলেন।
এবং বললেন,
অরিজিনাল ডকুমেন্ট দেখানোর কোন প্রয়োজন নাই।
ব্রাঞ্চ ম্যানেজার বললেন,
আমরা একটা প্রমোশন মাস ঠিক করেছি যাতে গ্রাহকদের বলবো,
কোনরকম ক্যাশ টাকা জমা না দেওয়ার জন্য।
আমি বললাম ,,
আমি কখনো ক্যাশ টাকা জমা দেইনি সব চেকের মাধ্যমে জমা দিয়েছি।
মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি!
ঐশী সাহায্যে এসে আমার সবকিছু সহজ করে দিল।
মনে বললো ২০০৭ জানুয়ারি মাসে অসুস্থ অবস্থায় আকবরী হজ,
করে ফেরার সময়,
জেদ্দার এয়ারপোর্টে তিনজন অচেনা যুবক এসে আমাকে ভীষণভাবে সাহায্য করেছিল।
আমার ছোট মেয়ে এখনও বলে, ওই তিনজন ফেরেশতা ছিল।
আবুধাবিতে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক অঘটনার পরে একটা দৈব ঘটনার মাধ্যমে চাকুরীটা সম্ভব হয়েছিল। সে গল্প অনেকবার বলেছি।
১৯৮৪ সালে
ইন্দিরা গান্ধী হত্যার সময় আমি দিল্লিতে অবস্থান করছিলাম। দৈবক্রমে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের টিকিট পেয়ে কারফিউ ভাঙ্গার সাথে সাথেই বোম্বেতে চলে গিয়েছিলাম।
জীবনটার পিছনে খোঁজাখুঁজি করলে এরকম অনেক ঐশী যোগ পাওয়া যাবে।
রচনাকাল বেলা ১১ টা ৩ নভেম্বর