know thyself নিজেকে জানো
এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কাছে পৃথিবী কত না ছোট!
পৃথিবীতে আটশত কোটি মানুষের বসবাস।
আমার একক অস্তিত্ব কতনা নগণ্য।
সীমাবদ্ধ একটা জ্ঞানের ঘূর্ণিপাক নিয়েই আমাদের জীবনকাল কেটে যায়। জ্ঞানের মহাসমুদ্রে আমি বা আমরা পুটি মাছ মাত্র। কিন্তু সেটুকুও বোঝার ক্ষমতাও আমার মস্তিষ্ক ধারণ করে না।
কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ ডাক্তার কেউবা সাহিত্যিক। কিন্তু কেউ কি একই সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার,
ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে!
ডাক্তারি শাস্ত্রেও অগনিত শাখা ও উপশাখা,কেউবা হার্টের ডাক্তার, কেউবা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, কেউবা হাইপারটেনশনের ডাক্তার, ইত্যাদি ইত্যাদি।
সাহিত্যিকদের মধ্যে অনেক ভাগ আছে। কেহ উপন্যাস লেখে কেউ ছোট গল্প লেখে কেউবা কবিতা লেখে,
কেউবা রম্য রচনা লেখে।
something divided by infinity is zero.
তাই আমাদের জ্ঞান এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে বিশাল জ্ঞানমহাসমুদ্রের কাছে খুবই নগণ্য।
প্রায় শূন্যের কাছাকাছি।অংক তেমনটা ই বলে।
আসলে আমরা আহাম্মকের স্বর্গে বাস করি এবং নিজেকে জ্ঞানী ভেবে তৃপ্তি লাভ করি।
মানুষের জ্ঞান সীমাবদ্ধ,
মানুষের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ,
মানুষের জীবনকাল সীমাবদ্ধ।
মানুষ কতদিন বা বাঁচে,
50 বছর, 70 বছর বা 90 বছর।
এই বিস্তৃত জীবনকাল সে প্রচুর মানুষের সংগ পায়, কেউ কেউ খুব কাছাকাছিও চলে আসে। নিজের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব শুভাকাঙ্ক্ষীর সমন্বয়ে তার জগত।
কারো জগত অত্যন্ত ছোট,
কারো জগত বড়, কারো জগৎ বিশাল।
কেউবা সারাটি জীবনে 500 লোকের সংস্পর্শে এসেছে,
কেউ বা 5000 লোকের সংস্পর্শে এসেছে,
কেহ-বা আরো বেশি লোকের সংস্পর্শে এসেছে।
এই পৃথিবীর আট শত কোটি জনসংখ্যার তুলনায় উপরোক্ত সংখ্যা খুবই নগণ্য।
সামথিং ডিভাইডেড বাই ইনফিনিটি/ জিরো!
এই পৃথিবীতে একটা বড় জীবনকাল কাটানোর পর ও আমরা অতি নগন্য সংখ্যক লোকের সংস্পর্শে আসি।
পৃথিবীর একটি উপগ্রহ আছে।
শনির আছে চারটি।
এই গ্রহের মতোই প্রতিটি মানুষ একাই বিচরণ করে এবং তাকে ঘিরে থাকে অনেক অনেক উপগ্রহ। সেই উপগ্রহগুলি হলো তার চলার পথের সাথী, বাবা মা ভাই বোন স্ত্রী ছেলে-মেয়ে সহ তার একান্ত নিজস্ব পরিবার, তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব শুভাকাঙ্ক্ষী। এই বলয়ের বাইরে কারো সংস্পর্শে সে কখনো আসতে পারে না।
এখানেও সীমাবদ্ধতা তাকে ঘিরে রেখেছে।
এই অসীম জ্ঞান ভান্ডার কে সীমাবদ্ধ করার প্রয়াস করেছে,
দার্শনিকরা,
ক্ষণজন্মা জ্ঞানী মানুষরা।
কিন্তু তাদের প্রত্যেকের জ্ঞানের বিশ্লেষণ এবং জ্ঞানের সীমা রেখা ভিন্ন ভিন্ন,
তাই এখানেও তারা ব্যর্থ।