মধ্যপ্রাচ্য বনাম বাংলাদেশ
আমাদের মধ্যে অনেকেই কর্মজীবনের প্রারম্ভে মধ্যপ্রাচ্যে ছিলাম। আবুধাবি দুবাই কাতার বাহরাইন ওমান ইত্যাদি দেশগুলোতে আমাদের বন্ধু-বান্ধবের অনেকেই দীর্ঘদিন অবস্থান করেছে। এছাড়া লিবিয়াতেও।
মধ্যপ্রাচ্যের তপ্তবালু এবং বাতাসের মাধ্যমে অগ্নি বর্ষণে আমরা তখন অভ্যস্ত ছিলাম। তখন সেখানে বাড়িঘর দোকানপাট অফিস-আদালত সবই শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত ছিল। আমরা বাড়ি থেকে কিছুটা দৌড় দিয়েই টেক্সটি ধরতাম যা ছিল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। তারপর অফিসে যাই বা কোন মার্কেটে যাই,
সেখানেও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা ছিল।
এভাবেই প্রচন্ড গরমের মধ্যে আমাদের জীবনযাত্রা চলেছিল দিনের পর দিন। সন্ধ্যার পর কিছুটা স্বস্তি ছিল যদিও ওই সময় হিউমিডিটি বেশি হত।
নভেম্বর-ডিসেম্বর জানুয়ারি, এই মাসগুলোতে
গরম থেকে রক্ষা পাওয়া যেত।
এছাড়া সারা বছরই প্রচণ্ড গরম বা একইরকম তাপমাত্রায় দিনযাপন করতে হয়েছে সবাইকে।
আমরা অনেকেই ধীরে ধীরে
অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম।
বাংলাদেশ গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আজ আগস্ট মাস পর্যন্ত
গরমের তাণ্ডব চলছেই চলছে।
আষাঢ়-শ্রাবণ চৈত্র মাস –একই রকম তাণ্ডব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন,
এটা গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ফলাফল।
মনে হচ্ছে আমরা আবার মধ্যপ্রাচ্যে চলে গিয়েছি!!!