শুধু একটি গল্প-শেষ পর্ব
জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর মারুফ নীলার দিকে তাকিয়ে থাকে। মাথায় কিছুটা যন্ত্রনা হচ্ছিল। সে বুঝতে চেষ্টা কর,
তার কি হয়েছিল! সে হসপিটালে কিভাবে আসলো!
আস্তে আস্তে তার সব ঘটনা মনে পড়লো।শাহানার কথা, রেস্টুরেন্টে এর কথা।
নীলার জিজ্ঞাসাবাদের মুখে মারুফ কোনো কথা বলল না, চুপ থাকল। মারুফের অসুস্থতা দেখে নীলাও বেশি ঘাটাঘাটি করলো না।
এমন সময় হসপিটালের রুমের দরজা খুলে প্রবেশ করলো,মারুফের শ্যালিকা শাহানা। চোখেমুখে অনুতাপের লেশমাত্র নাই, অস্বাভাবিক ভাবে নিরবে মারিফের দিকে চেয়ে থাকলো।
মারুফ শাহানার চোখের দৃষ্টির কাছে নিজেকে অসহায় বোধ করল!
বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালী তে
দুর্গা একটি পুতির মালা চুরি করেছিল,
অনেক চেঁচামেচি হৈ-হুল্লোড়ের পরও সেই মালাটি খুঁজে পাওয়া যায় নাই। হঠাৎ একদিন অপু, পুতির মালাটি পেয়ে যায় দুর্গার গোপণ কুঠুরি থেকে। ব্যাপারটি ভয়ানক লজ্জাস্কর ছিল। অপু মালাটি পকেটে লুকিয়ে পুকুরের পাড়ে চলে যায়। তারপর মালাটি পুকুরের মাঝখানে ছুড়ে মারে।মালাটি ডুবে যায়, সাথে চুরির লজ্জাষ্কর চিরকালের জন্য বিস্মৃতির আড়ালে চলে যায়।
যে দুর্দান্ত ঘটনা শাহানা ঘটিয়েছিল, মারুফ
মনের গহীনে তা চিরকালের জন্য লুকিয়ে রাখল,পথের পাঁচালীর অপুর মত।
**টিভিতে প্রচারিত একটি তুর্কি ড্রামা সিরিয়ালের ছায়া অবলম্বনে।