আমার তো মনে হয় আমাদের সমাজটা হুমাজাহ,
লুমাজাহ
এ লিপ্ত,
কোন সংকোচ ছাড়াই।
পরচর্চা করা ছাড়া আড্ডা জমে না।
সবাই নিজের নয়,
অপরের দোষ অন্বেষণে ব্যস্ত।
কথায় কথায় গীবত।
পরশ্রীকাতরতা।
ধারণা করে বা অনুমান করে, একে অন্যের শত্রু হয়ে যাচ্ছে।

এসব নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের সতর্কবাণী কোরাআনের পাতায় পাতায়।
কিন্তু কুরআন বুঝার জন্য না পড়ে ;
শুধু তেলাওয়াত করে সঠিক দিকনির্দেশনা কিভাবে পাওয়া যাবে?

কেউ কেউ আফসোস করে বলেন ঃ
বাচ্চাদের কিন্ডারগার্ডেন এর বইও,
বুঝে পড়তে হয়।
শুধুমাত্র একটি বই বুঝে পড়ার দরকার মনে করে না
অধিকাংশ দিকভ্রষ্ট ওবিভ্রান্ত মুসলমান!
সেটা হচ্ছে আল কোরআন।

অনেক অনেক নেতিবাচক গুণাবলী বাঙালি মুসলমানদের।
তাই কতিপয় বিশিষ্ট সূরা,
আর
সুরা হুজুরাত,
বেশি বেশি প্রচার করা উচিত।
ঘরে ঘরে কোরআন বুঝে
তেলাওয়াত করার বিপ্লব ঘটাতে হবে।
একটা উচু জায়গায় কুরাআন মজিদ রেখে,
তাকে সম্মান জানানো,
আর কতদিন??

আল্লাহর প্রেরিত প্রথম ওহী,
ইকরা —পড়ো।
আল্লাহ ফেরেশতাদের বললেন,আদমকে সেজদা করতে।
কিন্তু তার পূর্বে আদমকে,
নাম শিখালেন। অর্থাৎ জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করালেন।
ফেরেশতারা আদমের জ্ঞানে আপ্লুত হয়ে সেজদায় পড়ে গেল।
আদমকে সেজদা করল।

তাই জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে মানব,
ফেরেশতার থেকে ও
অধিক মর্যাদাবান হতে পারে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *