একমাত্র ইসলামই নারীকে মর্যাদার সর্বোচ্চ শিখরে পৌছাতে চেষ্টা করেছে। নারীর দুইটা রূপ আছে, মাতৃত্ব এবং প্রেয়সী। ইসলাম নারীর মাতৃত্ব রূপের প্রাধান্য দিয়েছে সবচেয়ে বেশি। বেহেশতে মায়ের দরজা সবচেয়ে উঁচু,
বাবার তুলনায় মায়ের মর্যাদা তিনগুণ বেশি।
পশ্চিমা বিশ্ব নারীকে দেখেছে প্রেয়সি হিসেবে। নারীকে তারা মর্যাদার আসনে বসাতে পারে নাই। সম অধিকারের ধোয়া তুলে নারী অমর্যাদার শিকার হয়েছে বারবার।
নারী তাদের কাছে একটা পণ্য ছাড়া আর কিছুই নাই। তাই সব রকম বিজ্ঞাপনে নারীদের পাওয়া যায়। পুরুষদের আসকারায় নারীরা অশ্লীলতার ভক্ত হয়ে পড়েছে। পুরুষ ছলে বলে কৌশলে মিথ্যা বাহবা দিয়ে নারীকে উলঙ্গ করতে সাহায্য করেছে। এইভাবে পশ্চিমা নারীরা মায়ের মর্যাদার আসন থেকে ছিটকে পড়েছে।
পশ্চিমা বিশ্বের ছেলে-মেয়েদের অবাধ মেলামেশার শ্রুতিতে ৯০ এর দশকে লিভিং টুগেদার শুরু হলো এবং প্রথমে ইংল্যান্ড সেটা লিগ্যাল করে নিল। তারপরের চ্যাপ্টারে ক্লিংটন গে ম্যারেজের স্বীকৃতি দিল। পুরুষ পুরুষ বিয়ে মেয়ে মেয়ে বিয়ে এগুলো বিভিন্ন দেশে স্বীকৃতি পেয়ে গেল।
মাত্র ৩০-৪০ বছর যেতে না যেতেই এর মারাত্মক পরিণতি বা সাইডএফেক্ট দেখা দিল সারা বিশ্বে। আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বে এখন জন্মহার নেগেটিভে চলে গেছে। বিভিন্ন দেশে বিবাহযোগ্য মেয়ে পাওয়া যাচ্ছে না। ঐ সমস্ত দেশগুলোতে নিজস্ব অধিবাসীদের সংখ্যা বিপদজনক হারে কমে যাচ্ছে এবং ইমিগ্রেন্ট এর সঙ্গে বাড়ছে গেলপিং রেইটে।
এভাবে নারীকে সম্মান ও মর্যাদার আসন থেকে নিচে নামানোর ফলশ্রুতিতে মানব সভ্যতা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *