সোহরাওয়ার্দী হলের স্মৃতিকথা

0

সকাল বেলায় ক্যান্টিনে ধাপাধাপি
গরম পরোটা ডিম ভাজা,
মির্জার চিৎকার বাবলার লাফালাফি।
মনে পড়ে মিতু ভাইয়ের কথা
সুন্দরী বান্ধবী নিয়ে আমার রুমের উপর দিয়ে
দুজনে যায় নিজরুমে
চাবি হারিয়ে যখন দিশেহারা।
চার সতীন নাকি গুদামঘর
সবকিছু এলোমেলো ধুলায় জর্জরিত
অকাজের কাজ আর শত শত আনন্দের আয়োজনে
বাহ বাহ চার সতীন
পুতলা নাচে তা ধিন ধিন।
দাঁইয্যা তারেকের হাসি
এ্হতেশামের নীরব বাঁশি
এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি
পড়ালেখায় বড্ড অবহেলা
কিন্তু দুরন্ত দুর্বার তার,
পরীক্ষার খাতা।
গভীর রাতে সুরের মূর্ছনা
মির্জা গায় দরবারী
ফারুকের তবলায় হাতে খড়ি
সুরে সুরে রাত জাগে
নীড়ের খুঁজে পথহারা পাখি ।
৪০২ এর রাজা বলে
দুই লাইন গান শুনে
ঘুম জড়ানো চোখে নেশা জাগে
মির্জা মুখ টিপে টিপে হাসে।
মাহবুবের সোনার খাঁচার দিনগুলো
হারিয়ে গেছে বিস্তৃতির
অন্তরালে
আরেকটি বসন্তের আশায়,
মন কেঁদে কেঁদে ফিরে
ধারিত্রি ঢাকে যায়,
সন্ধ্যার মৃদু আধারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *