আড্ডাও পরোটার মৌ মৌ গন্ধ!
আজকে সাব্বিরকে নিয়ে আমাদের সিঙ্গারার আর
মালাই চা’র আড্ডা ছিল,
রবীন্দ্র সরোবর এর একপাশে।
আমি প্রথমে ছয়টা গরম গরম সিঙ্গারা নিয়ে আসলাম এবং সাথে চারটা মালাই চা।
তখন আমরা চারজন ছিলাম।
পরে আনোয়ার ও লেয়াকত যোগ দেয়, আমরা ছয়জন হলাম। এরপর মুক্তাদির আটটা সিঙ্গারা নিয়ে আসলো।
সিঙ্গারার সাথে চা খেতে খেতে আড্ডা চলতে লাগলো। ভোরের স্নিগ্ধ পরিবেশে জম্পেশ আড্ডা হচ্ছিল। কারো কারো সাথে সাব্বিরের দেখা
30 বছর পর।
চায়ের কাপে যখন ঝড় উঠে তখন প্রসঙ্গ ক্রমাগত পাল্টাতে থাকে। আমাদের বেলায় তেমনটাই ঘটছিল।
নব্বইয়ের দশকে পুতুল ও লেয়াকত,
দুই জনই কমিশনার ইলেকশনে জিততে জিততে হেরে যায়।
তাদের ভাষায় জিতলেই হয়তো অনেক ক্ষতি হয়ে যেত,
পরাজিত হওয়াতেই মঙ্গল,
এখন লেকের পাড়ে বসে সিঙ্গারা খেতে পারছে।
তা না হলে, জীবনটা হয়তো পাজেরো আর
টাকার ঘূর্ণিপাকে ঘুরতে থাকতো। তাই পুতুল হারাতে, পুতুলের অর্ধাঙ্গিনী,
বাবলি দুইটা খাসি সদগাহ করেছিল।
ফারুক বলে উঠল,
95 সালে ইস্টার্ন প্লাজা শপিং কমপ্লেক্স এর প্রেসিডেন্ট ইলেকশনে মাত্র আট ভোটে হেরে গিয়েছিল। তখন চেয়ে জেনারেল সেক্রেটারি ছিল।
প্রেসিডেন্ট হলে,
সন্ত্রাসীদের সাথে মিশতে মিশতে হয়তো,
জীবনের গতিপথ বেঁকে যেতে পারত।
আল্লাহ যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন, হয়তো আমাদের বুঝতে দেরি হয়।
সাতটা থেকে নয়টা পর্যন্ত আড্ডা চলল।
আড্ডা শেষ হয়, হয়,
এমন সময় পুতুল বলে উঠলো;.
ফারুক,
পরোটার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে । নাস্তা করব না?
ইতিমধ্যে আমরা প্রত্যেকে দুটি করে সিঙ্গারা খেয়ে পেট ভরিয়ে ফেলেছি।
আড্ডার প্রথমে পুতুলের এখনকার দেহ এবং বুয়েট থাকাকালীন অবস্থার দেহ নিয়ে বেশ কিছু আলোচনা হল,হাসি-ঠাট্টা হলো।
তখনকার 40 কেজির পুতুল এখন —!!
আমি বলে উঠলাম
বিগ ব্যাং থিওরি অনুযায়ী পৃথিবী সম্প্রসারিত হচ্ছে —তেমনটাই পুতুল।
সাব্বির হেসে উঠলো। বলল,
তুই ইউনিভার্সের সাথে পুতুলের তুলনা করছিস!!
কেউই নাস্তা খেতে আগ্রহ দেখালো না —মৌ মৌ গন্ধে বিমোহিত পুতুলের পরোটা খাওয়া হলো না!!