কুয়াকাটার দিনলীপি
১ম পর্ব
ঢাকা থেকে সকাল সাড়ে ৭ টায় রওনা দিলাম নিজস্ব গাড়িতে। পদ্মা ব্রিজ খোলার সাথে সাথেই কুয়াকাটা সম্বন্ধে ভাবতে শুরু করলাম। ওখানকার হোটেলগুলোকে ফোন করলাম। তারা বলল পদ্মা ব্রিজের কল্যাণে এখনতো সাড়ে সাত ঘণ্টার মধ্যেই কুয়াকাটায় চলে আসতে পারবেন, আগে তিনটি ফেরি ছিল
১১/১২ ঘন্টা লেগে যেত।
ঈদের ২দিন আগেই হোটেল বুক করে ফেললাম। ঈদের পরপরই কুয়াকাটা সমস্ত হোটেল বুক হয়ে গিয়েছিল।
আমি হোটেল গ্রেভার ইন ইন্টারন্যাশনাল এ একটি ডবল বেডরুম বুক করলাম। টেরিফ ৫০০০ টাকা প্রতি রাত্রি।ইউটিউবে
সার্চ করে হোটেলটি বের করলাম। বাস্তবে ইউটিউবে দেখা হোটেলটি সাথে সামঞ্জস্য তেমন ছিল না।কারসাজি করে ইউটিউবে অতিরঞ্জিত বিষয় দেখানো হয়েছে। তবে হোটেলটির দুইটি আকর্ষণ আছে। এর পিছনে বিরাট একটা লন আছে,
যেখানে বসে বারবিকিউ খাওয়া যায়। সমুদ্র সৈকত এর দূরত্ব মাত্র তিন মিনিট।কিন্তু হোটেলে ভীষণ রকম অব্যবস্থা আছে, বলতে গেলে,২০ বছরের পুরানো রুমের সব কিছু। তাই কখোনো এই এসিতে ডিস্টার্ব, কখনো গরম পানিতে।
★এখানে একমাত্র ফোর স্টার হোটেল সিকদার হোটেল★।শুনেছি অত্যান্ত অত্যাধুনিক। তবে সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় দেড় কিলো দূরে। সিকদার হোটেলের টেরিফ ৬০০০টাকা প্রতি রাত্রি।
আমি প্রথম দিন বিকেল পাঁচটা সময় সমুদ্র সৈকতে গেলাম। প্রচণ্ড ভিড় ছিল। মেঘের জন্য সূর্যাস্ত দেখা হলো না। ওখানে অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম।এই গরমে সমুদ্রসৈকতে বাতাসের তাণ্ডবে মনটা জুড়িয়ে যায়। দেখলাম দশ-বারোজন ভ্যানডার মাছ বিক্রি করছে ওখানে অনেক ভিড়। ভ্যানগাড়িতে ছোট ছোট মাটির হাঁড়িতে দুধ চা বিক্রি হচ্ছে। আমি দুটো চা চাইলাম।দোকানদার বলল স্যার, ৩০ টাকা করে কিন্তু!
হোটেলে ফিরে গিয়ে ডিনারের অর্ডার দিলাম।২/৩ ঘণ্টা আগে অর্ডার দেওয়া ভালো। রাত দশটার সময়, হোটেলের পিছনের লনে বসে,
৫০০ গ্রামের কোরাল মাছের বারবিকিউ আর পরোটা দিয়ে ডিনার করলাম। ৯০০ টাকা পরলো। সমুদ্র সৈকতে এই মাছটি ৫০০ টাকায় পাওয়া যেত.।
তবে হোটেলে বসে রাজকীয় পরিবেশ খাবারের ব্যাপারটাই তো আলাদা।
–চলবে