হিজাবের প্রতি আক্রমণ কেন?

0

মুসলিম নারীদের হিজাবের প্রতি আক্রমণ কেন?
অমুসলমানরা একটি সহজ উপায়কে পুঁজি করে হিজাব কে কেন্দ্র করে সমস্ত মুসলিম বিশ্বকে
বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে।।
এভাবেই তারা সাধারণ পৃথিবীবাসীর কাছে ইসলাম ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সদা তৎপর।
হিজাবের জন্য মুসলিম নারীকে অপমান অপদস্ত করার মাধ্যমে,তারা সমস্ত মুসলিমউম্মাহকেই
অপমান অপদস্ত করছে।
তারা জানে,
এই মুহূর্তে দ্বিধাবিভক্ত শক্তিহীন মুসলিম বিশ্ব এই কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হতে পারবেনা।

মুসলমানরা দাড়ি রাখে, মুসলমানরা টুপি পড়ে, জুব্বা, আলখেল্লাও পরে।এইসবের বিরুদ্ধে অমুসলমানরা তৎপরতা করছে না বা নিষেধাজ্ঞাও দিচ্ছে না।
কারণ বিধর্মীদের মধ্যেও দাড়ি রাখার প্রচলন রয়েছে। হিন্দু ধর্মের শিক সম্প্রদায় বাধ্যতামূলক ভাবে দাড়ি রাখে। আবার ইহুদীদের মধ্যেও দাড়ির প্রচলন আছে।
টুপির নানা সংস্করণ আছে। সাহেবরা হেট পরে,
শিখ সম্প্রদায় পাগড়ী পরে, বিভিন্ন উপজাতীয়দের মধ্যে এর প্রচলন আছে।
উপরোক্ত কারণেই দাড়ি বা টুপিকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করা যায় নাই।
মসজিদের ব্যাপারে সমস্ত বিধর্মীদের নমনীয় মনোভাব পরিলক্ষিত হয়।
★কারণ মুসলমানদের বিরুদ্ধে তারা এমন কোন কর্মতৎপরতা চালাবে না ;
যখন সমস্ত মুসলিম বিশ্ব একজোট হয়ে এর প্রতিবাদে মুখর হয়। ★
বিভিন্ন নীলনকশা মাধ্যমে পশ্চিমা- বিশ্ব,
মুসলিম রাষ্ট্র গুলোর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে এবং তাদেরকে দ্বিধাবিভক্ত রাখে।
তুরস্কের এফ-সিক্সটিন পাইলটদের ট্রেনিং দেওয়ার কারণে পাকিস্তান আমেরিকার রোষানলে পড়ে ।

পাকিস্তানের ইমরান খান, তুরস্কের এরদোগান,মাহাথির ও ইরানের ;
একসাথে জোটবদ্ধ হবার চিন্তাকে সৌদি আরব নস্যাৎ করে দেয়,আমেরিকার উস্কানিতে। ইমরান খানকে মালয়েশিয়াতে যেতে দেওয়া হয়নি,
হুমকি ছিল পরিণামে 20 লক্ষ পাকিস্তানি শ্রমিককে সৌদি আরব থেকে বহিষ্কার করা হবে।

একসময় পাকিস্তান ইরান ও তুরস্কের মধ্যে RCD মাধ্যমে একটি সম্পর্ক বা জোট বদ্ধ হওয়ার প্রচেষ্টা হয়েছিল। এই জোটকেও বেশিদিন টিকতে দেওয়া হয়নি।

পশ্চিমা বিশ্ব সিসিটিভির মত, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রকে প্রতিনিয়ত
পর্যবেক্ষণ করে।
যেকোনো দুটি মুসলিম রাষ্ট্রের মধ্যে ভালো সম্পর্ক বা ভালোবাসা তৈরি হলে, পশ্চিমা বিশ্ব ভিলেনের ভূমিকায় নেমে তার নস্যাৎ করে দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *