আল্লাহ হীন নীতিদর্শন

0


তৃতীয় পর্ব

সক্রেটিস

মানবীয় কার্যকলাপের তত্ত্বানুসন্ধান ও
আত্মনিয়োগকারী হিসেবে সক্রেটিস
প্রথম দার্শনিক।
তিনি পূর্বের দার্শনিকদের মতবাদ এর ফলাফলের প্রতি আস্তাবান ছিলেন না। তিনি বিশ্বলোকের নিহিত তত্ত্বের রহস্য উদঘাটন কে মানবীয় সাধ্যের অতীত বলে মনে করতেন।

সক্রেটিসের বিবেক-বুদ্ধি এতটাই উন্নত ও উৎকর্ষ প্রাপ্ত ছিল বলেই তিনি সৃষ্টির রহস্য উদঘাটনকে মানুষ সাধ্য বহির্ভূত ঘোষণা করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
তা সত্ত্বেও তিনি প্রকৃত জ্ঞান ও জ্ঞানের উৎসের সন্ধান পাননি, এটা দুঃখজনক হলেও সত্য।
এ কারণে তার নৈতিক দর্শন এর নেতিবাচক বিষয়টি সুস্পষ্ট।
তাতে ইতিবাচক দিক শুধু উপেক্ষিত নয়,
অস্পষ্ট ওদুর্বোধ্য ও বটে।
এর ফলে তার অন্তর্ধান এর পর তার শিষ্যরা বা সাগরেদরা , নৈতিকতার বিষয়ে পরস্পরবিরোধী মতাদর্শ গ্রহণ করেছে।
তারই এক ছাত্র,
ভালো ও মন্দ কে
নিছক সাদ্ব আস্বাদনের মধ্যেই সীমিত মনে করেছে , দৈহিক অথবা মানসিক।
তার আরেক ছাত্র বলেছেন
সাদ্ব সম্পূর্ণ মন্দ
এবং দারিদ্র্য শ্রম কষ্ট কুখ্যাতি ও লাঞ্ছনা কে,
ভালো ও কল্যাণ লাভের উপায় বলে মত প্রকাশ করেছেন।
মানুষ যদি নিঃসন্দেহে জানতে পারে তার জন্য মন্দ কি, ভালোটা কি, তখন মন্দ এড়িয়ে ভালোটাই করবে।
সক্রেটিসের মতে জ্ঞান ও বিদ্যা হচ্ছে মানুষের জন্য বৃহত্তর কল্যাণ লাভ।
কিন্তু সেই জ্ঞানের উৎস কি, কোথায়,
কার নিকট থেকে পাওয়া যাবে,
সে কথা বলেননি।
তিনি ভাল এবং কল্যাণ,
এর কোনো সংজ্ঞা ও পেশ করেন নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *