কোরআান আমাদের কথাও বলে (গুনাহগার বান্দা)
আহনাফ বিন কায়েস নামক একজন আরব সরদারের কথা বলছি।
তিনি ছিলেন একজন বীর যোদ্ধা। তার সাহস ছিল অপরিসীম। আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কে দেখেন নাই কিন্তু নবীজির বহু সাহাবীকে দেখেছেন।
সূরা আল আম্বিয়া ১০নম্বর আয়াতটি তার,
নজরে পড়ল।
★আমি তোমাদের কাছে এমন একটি কিতাব নাযিল করেছি যাতে তোমাদের কথা আছে অথচ তোমরা চিন্তা ভাবনা করো না ★
আহনাফ ছিলেন আরবি সাহিত্যে গভীর পারদর্শী ব্যক্তি।
তিনি ভাল করেই বুঝলেন ,। যাতে শুধু তোমাদেরই কথা ;
আছে এই কথার অর্থ কি?
তিনি ভাবলেন আমার কথা কি,
জানতে হবে
কোরান শরীফ নিয়ে বসলেন —-
একে একে বিভিন্ন আয়াত পড়ে গেলেন —-
একদল লোক এলো তাদের পরিচয় এভাবে প্রকাশ করা হলো যে ;
এই রাতের বেলায় খুব কম ঘুমায়। শেষ রাত্রিতে তারা আল্লাহর কাছে নিজের গুনা খাতা
জন্য মাগফেরাত কামনা করে।
সূরা আয-যারিয়াত 17-19
এরপর এল আর একদল মানুষ এদের সম্পর্কে বলা হলো —
এরা দারিদ্র ও স্বাচ্ছন্দ,
উভয় অবস্থায় (আল্লাহর নামে) অর্থ ব্যয় করে, রাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখে,
এরা মানুষকে ক্ষমা করে,
বস্তুতঃ আল্লাহ তাআলা এসব নেককার লোকদের ভালোবাসেন।
সূরা আল ইমরান 134
হযরত আহনাফ নিজেকে ভালো করেই জানতেন।
আল্লাহর মনোনীত লোকদের কথাবার্তা দেখে, তিনি বললেন,হে আল্লাহ,
এভাবে কোথাও আমাকে খুঁজে পেলাম না।
আমার কথা কই?
আমার ছবি কই?
এরপর কুরআনের কাছে আরও দল লোকের দেখা পেলেন —
যখন তাদের বলা হয় আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই,
তখন তারা গর্ব ও অহংকার করে, ও
বলে,
“”আমরা কি একটা পাগল ও কবির জন্য আমাদের নিজেদের মাবুদকে পরিত্যাগ করব “”?
সূরা আস সাফফাত
আয়াত ৩৫-৩৬
তিনি আরো দেখলেন কতিপয় হতভাগ্য লোককে জিজ্ঞেস করে হচ্ছে ;
তোমাদের কিসে জাহান্নামের
এই আগুনে নিক্ষেপ করল?
তারা বলবে আমরা নামায কায়েম করতাম না,
আমরা গরিব মিসকিন কে খাবার দিতাম না,
কথা বানানো যাদের কাজ আমরা তাদের সাথে মিশে সে কাজে লেগে যেতাম।
শেষ বিচারের দিন টিকে অস্বীকার করতাম।
এভাবে একদিন মৃত্যু আমাদের সামনে এসে হাজির হয়ে গেল।
সূরা আল মুদ্দাসসির 42-46
হযরত আহনাফ ভাবলেন আমার কথা এখনো পেলামনা?
আমার ছবি পেলাম না?
★কুরআনের পাতা উল্টাতে উল্টাতে এক জায়গায় সত্যিই হযরত আহনাফ নিজেকে উদ্ধার করলেন
খুশিতে তার মনে ভরে উঠলো।
আজ তিনি কোরআনে নিজের ছবি খুঁজে পেয়েছেন
সাথে সাথে বলে উঠলেন,
এইতো আমি!! ★
হা,
এমন ধরনের কিছু লোক আছে যারা নিজেদের গুনাহ স্বীকার করে,
এরা ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাজকর্মে করে,
কিছু ভালো, কিছু মন্দ।
আশা করা যায় আল্লাহতালাহ এদের ক্ষমা করে দেবেন।
অবশ্যই আল্লাহতালা বড় দয়ালু ও ক্ষমাশীল।
সূরা আত তাওবা 102
আল্লাহর দয়া থেকে তারাই নিরাশ হয়,
যারা গোমরাহ ওপথভ্রষ্ট।
সূরা আল-হেজর ৫৬
হযরত আহনাফ দেখলেন,
এই সব কিছুকে একত্রে রাখলে যা দাঁড়ায় তা হচ্ছে,
তার ছবি।
তিনি বলে উঠলেন,
হে আল্লাহ,গুণী জ্ঞানী
পাপি তাপি
ছোট-বড়
ধনী-নির্ধন —
সবার কথাই আছে তোমার কিতাবে।
তোমার কিতাব সত্যি অনুপম।