নামাজ শুধু নামাজের জন্য নয়
একটা সমাজে অবিচার ব্যভিচার সবকিছু চলতেছে,
জুলুম নির্যাতন চলতেছে,
অসৎ কাজ থেকে ফেরানোর কেউ নেই,
ফিতনা-ফাসাদের জর্জরিত,
যদি ওই সমাজের লোকেরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, এবাদত বন্দেগী করে
তবে কি দাঁড়ায়?
যেই সমাজের লোকেরা নামাজ পড়ে, আল্লাহর এবাদত ও করে, তাদের দ্বারা জাহিলি সমাজ গঠন করা কি সম্ভব?
সত্যিকার ভাবে যে সমাজের লোকেরা নামাজ পড়বে, এবাদত বন্দেগী করবে,
সে সমাজ কোনরকমে,
ওই রকম হতে পারে না যে, সমাজে শুধুমাত্র ফেতনা ফ্যাসাদ,
যেনা ব্যভিচার অবলিলায় চলে!
নামাজে ও ইবাদত বন্দেগীর উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষকে সঠিক পথে নিয়ে আসা,
সেই সমাজে জুলুম থাকবেনা নির্যাতন থাকবেনা, যেনা-ব্যভিচার থাকবেনা, ফেতনা ফ্যাসাদ থাকবে না। সৎকাজে আদেশ দেয়ার লোক থাকবে,
অসৎ কাজ নিষেধ করার লোক থাকবে।
নামাজে ও ইবাদত বন্দেগীর উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষকে ন্যায় ও সত্যের পথে ডেকে আনা।
তাই নামাজ শুধু নামাজের জন্যই নয়।
মানুষের মধ্যে মহানবীর গুণাবলী নিয়ে আসার জন্যই নামাজ।
তাই এককভাবে নামাজের কোন মূল্যই নেই, আল্লাহর অন্যান্য আদেশ নিষেধ গুলো যদি
মানা না হয়।
আল্লাহ কি বান্দার নামাজের প্রতি মুখাপেক্ষী?
ফেরেশতাগণ সারাক্ষণই আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন।
নামাজ ও এবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে মানুষের কলব বা রুহ, শক্তিশালী হয়,
নফস পরাজিত হয়।
তাই একজন মুসলমানকে সত্যিকারের মুসলমান হতে হলে সমস্ত মানবিয় গুণাবলী ধারণ করতে হবে ,
আল্লাহ সমস্ত আদেশ নির্দেশ মান্য করতে হবে।
তাই নামাজ কেবল মাত্র নামাজের জন্য নয়।