খেলাধুলা ও ইসলাম
তোমার চিন্তাধারায় এবং বক্তব্যে কোন ভুল নাই।
কিন্তু তুমি এমন এক সময় বক্তব্য দিচ্ছ
যখন মুসলিম সমাজ দিশেহারা পথহারা।, ঈমানের খোঁজে
মরুদ্যানের খুঁজে মরুভূমিতে ঘূর্ণায়মান।
তকবির কিভাবে দিব
হাত কোথায় বাধবো
আমিন বলব কিনা ,
ইত্যাদি ছোট ছোট ব্যাপারে বিভক্ত হয়ে পড়েছে মুসলিম সমাজে।
আল্লাহর নির্দেশ সঠিক না বুঝে , হারাম হালাল এর তোয়াক্কা না করে
জীবনযাত্রা চলছে ,
অধিকাংশ মুসলমান গোষ্ঠীর।
এমত অবস্থায় তোমার কাজ, আমার কাজ একটাই
প্রকৃত মেসেজগুলা মুসলমানদের কানে দিয়ে দেওয়া। আল্লাহর নির্দেশিত ফরজ ইবাদত গুলো কিভাবে পালন করতে হয় সেটা বুঝিয়ে বলা।
হারামকে সম্পূর্ণ হারাম ভাবে চিহ্নিত করা। মহাপাপ গুলো চিহ্নিত করা,
যেমন মিথ্যা কথা মহাপাপ
অসৎ কাজ করা মহাপাপ, কালোবাজারি মহাপাপ
ইত্যাদি ইত্যাদি। কেবলমাত্র মানুষজনকে নামাজ রোজার দিকে ডাকলেই চলবে না, ইসলামের প্রকৃত মেসেজ তাদেরকে বুঝতে হবে, বুঝাতে হবে।
††এমন অবস্থায় ছোট ছোট মোবাহ কাজ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করা নেহাত বোকামি।††
দুর্বলের হাদিসের ভিত্তিতে ইসলামী খেলাধুলাই নিষিদ্ধ,
সেখানে মুসলমান দলগুলোকে তুমি কিভাবে সাপোর্ট করবে? দুর্বল
হাদিসের ভিত্তিতে
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা , ঘোড়ার দৌড়, ইত্যাদি কেবল যায়েজ পর্যায়ে পড়ে।
তাই আমার একান্ত বিচার ছোট ছোট সব ব্যাপারকে ইগনোর করে, অগ্রাহ্য করে,
আমরা ইসলামের ফরজ আকিদা গুলো নিয়ে চিন্তা করি।
আমার চিন্তাধারার ভুল থাকতেও পারে,
কিন্তু আমার মনে হয় ছোটখাটো ব্যাপারে তর্ক বিতর্ক তুলে নিজেদের মধ্যে মতভেদ
ঝগড়া
সৃষ্টি করা কোন প্রয়োজন নাই।
ইরান পাকিস্তানের মতো মুসলিম দেশগুলো মেয়েদেরকে ফুটবলের মাঠে নামিয়ে দিয়েছে কেউ কেউ হাফপ্যান্ট পড়ে কেউ কেউ হয়তো পায়জামা পড়ে
কিন্তু এটা কোন অবস্থাতেই যায়েজ নয়,
দুর্বল ও সবল যে কোন হাদিসের ভিত্তিতে।
Fifa উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে,
মুসলিম দেশগুলোকে মেয়েদের দল নামাতে বাধ্য করেছে, তা না হলে বাজেট বন্ধ করে দিবে ,
এ ধরনের হুমকি দিয়েছিল।
ঐরকম সাক্ষাৎ হারাম কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে
আমাদের সোচ্চার হওয়া উচিত।