ডিগবাজি
ভালোবাসার অপর পীঠ
হচ্ছে ঘৃণা,
বন্ধুত্বের বিপরীত নাম হচ্ছে শত্রুতা,
মিথ্যা বিপরীতে
সত্য ,
মানুষ যাকে ভালবাসে
তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে।
তার চলন বলন কথাকলি,
সবকিছুই তার ভালো লাগে,
ভালোবাসার মানুষটির জন্য সর্বোত্তম ত্যাগ স্বীকার করতে কুণ্ঠিত হয় না।
কিন্তু একটি অদ্ভুত বিষয় এই যে,
একই অবস্থানে বা একই পরিস্থিতিতে মানুষ
সব সময় বিচরণ করতে করতে অতিষ্ঠ হয়ে যায়,
বৈচিত্রের সন্ধানে সম্পূর্ণ বিপরীত ধর্মী কর্মকান্ড করে ফেলে।
ভালোবাসার মধ্যেও সন্দেহ ঢুকতে পারে
ভালোবাসার মধ্যেও বিড়ম্বনা ঢুকতে পারে
ভালবাসার মধ্যেও খন্ডকালীন ঘৃণা ঢুকতে পারে।
রেল লাইনের দুটি শাখা সমান্তরাল ভাবে চলতে থাকে।
কখনো তাদের মিলন হয় না।
কিন্তু ভালোবাসা ও ঘৃণা পাশাপাশি চলেও
পরিশেষে ভালোবাসার
জয় হয়।
মুদ্রার এপিট ওপিট থাকে, সেরকম ভালোবাসার
অপর পিঠে ঘৃণা থাকে।
এই ছোট্ট শব্দ ঘৃণা হয়তো প্রকান্তরে ভালোবাসার চালিকা শক্তি। কারণ সৃষ্টির প্রথম থেকে মানুষ কখনো একই অবস্থানে পরিতৃপ্ত থাকে নাই,
অস্থিরতায় ভুগেছে
অকারনে এই মানসিক বিপর্যয় ।
মানুষ সবসময় অবস্থান পরিবর্তন করতে চায়,
এক পরিবেশ থেকে আরেক পরিবেশের মধ্যে ঢুকতে চায়, অবস্থান পরিবর্তন করে
হয়তো পুনরায় পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসে
মাঝখানে কিছুটা কাল অতিবাহিত হয়, বৈচিত্রের স্বাদ নিয়ে।
মানুষের চরিত্রের এই বিপরীতধর্মী সংঘর্ষ একটা শাতত ব্যাপার।
লাটিমকে যদি কোনক্রমে ঘুড়িয়ে দেওয়া যায়
সে ঘুরতেই থাকে ঘুরতেই থাকে যতক্ষণ না সে পরিশ্রান্ত হয় , তারপর অত্যন্ত গোবেচারার মত
আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসে।
মানুষ ভালোবাসার ঘূর্ণিপাকে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ হঠাৎ বিপরীত ধর্মী আচরণ শুরু করে,
এক সময় আবার ভালবাসার বস্তুটির নিকটে চলে আসে । ভালোবাসার জয় সৃষ্টির একটা শাতত বিষয় এই পৃথিবীর মহা রহস্যরের অন্তরালে।
বন্ধুত্ব চিরকাল একই নৌকায় বসবাস করে না, ঢেউ তালে তালে একইভাবে সন্তরণ করে না। মাঝেমধ্যে রাগ মান অভিমান বন্ধুত্বকে বিব্রত করে স্থানচ্যুত করতে চায়। কিন্তু অধিকাংশ সময় শত্রুতার অনুভূতি সৃষ্টি হলেও আবার বন্ধুত্বের জয় জয়কার হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে।
অল্প সল্প নেতিবাচক বস্তু অনেক সময় মানুষের চালিকাশক্তি হয় এবং কিন্তু পক্রান্তরে ইতিবাচক অবস্থানের দিকে ধাবিত হয়।
এই ভুবনে সৃষ্টির খেলা ওরহস্য যেমন আমাদের কল্পনা ও উপলব্ধির বাহিরে,
তেমনি ভালোবাসা ঘৃণা
বন্ধুত্ব শত্রুতা,—-সৃষ্টির রহস্যে এগুলোই সদা সন্তরণ, সদাবহমান।