অমরত্ব
মানুষ জানে যে সে একদিন মরে যাবে। তারপরও এ নশ্বর পৃথিবীটাকে সে ভালবাসে। শত শত অকাজের কাজ আর আনন্দের আয়োজনে সে নিজেকে ব্যস্ত রাখে। মার্বেল পাথরের অট্টালিকা তৈরি করে,যদিও জানে এখানে তার অবস্থান ক্ষণিকের।
মৃত্যু না থাকলে, আমাদের কি হত, অসীম বয়সের ভারে, আমাদের মানসিক অবস্থা কি হত ;
সেটা আমরা পুরোপুরি জানিনা।অনুভব করতেও পারিনা।
কিন্তু হযরত নুহ আলাই সালাম নয় শত বছর বেঁচে ছিলেন। তবে উনার বেঁচে থাকার উত্থান-পতন সম্বন্ধে আমরা কিছুই জানি না।
বয়সের ভারে অতিষ্ট হয়ে জাপানিরা নির্জন জায়গায় গিয়ে হারিকিরি করে। আত্মহত্যা করে।
আবার প্রাণ বাঁচাতে অতিবৃদ্ধও বছরের-পর-বছর নির্জন গুহায় বসবাস করে।
ছোটবেলায় মরে যাওয়ার ব্যাপারটা আমাদের মগজে পুরোপুরি ভাবে ঢুকে নাই কখনও।
যদিও আমাদের সামনে মৃত্যুকে আমরা দেখেছি। ছোটবেলায় আমরা অমরত্তের কথাই ভাবতাম। সেই ভাবে হুটোপুটি ছুটোছুটি আনন্দের ভেলায় ভেসে শৈশব কাটিয়েছিলাম।
মৃত্যুর সঠিক পরিচয়টা আমাদের মগজ উপলব্ধি করে যখন আমরা কৈশোরে।
ইতিমধ্যে মৃত্যুহীন পৃথিবীতে বসবাসের আনন্দ আমাদের মগজে ঢুকে গেছে।
সেই কারণেই হয়তো মৃত্যু এতো কাছে জেনেও, আমরা হাসি আনন্দে মেতে থাকি, প্রতিমুহূর্তে জীবন- সুধা পান করি।
যন্ত্রীর হাতে যন্ত্র আমরা।কখন যন্ত্রে করুন সুর বেজে উঠবে, আমাদের চিরবিদায় জানানোর জন্য; তা সবসময়ই অজানা।
তখন আরেক দল এসে পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে জীবনের ভূমিকায় সুখ-দুঃখের আয়োজন করবে।
life is a cycle.
that connects immortality of mankind.