শৈশবের কালো পদ্দা
মনে পড়ে সেই শৈশবের কথা।
একমাত্র পাঠশালাতে আমরা কিছু ভালো ভালো কথা শুনেছি এবং হাতের লেখা হিসেবে লিখেছি। সদা সত্য কথা বলিবে, গুরুজনকে মান্য করবে, ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু পরবর্তীকালে বই-পুস্তকে
মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক বিষয় দিয়ে,আমাদের মনের মধ্যে একটা কাল পদ্দা
লেপার চেষ্টা করা হয়েছে বারবার।
ক্লাস ফোর, ফাইভ এর অংক করেছি,
দুধের সাথে পানি মেশালে কিভাবে বেশি হবে?
চালের সাথে কোন কংকর মিশালে—-
??
বিমল মিত্রের সাহেব বিবি গোলামের
একটি বাক্য এখনো মনে আছে,
ভারতে তখন লোক সংখ্যা ছিল ৫০ কোটি —-একজন উপদেশ দিচ্ছিল —-
যদি ৫০কোটি লোককে দুই পয়সা করে ঠকানো যায়,
তবে তো কোটি টাকা হয়ে যাবে!!
এরকম তথ্য উপাত্ত,
ছোটবেলা থেকে আমাদের মস্তিষ্কে জমা হয়ে গেছে ।
একের পর এক কাল পদ্দা।
ইতিহাসে পড়ানো হয়েছে তুর্কি বীর
কামাল পাশার কথা। হত্যাকারী গামাল নাসিরের কথা।
মোগল সম্রাটদের মধ্যে আকবরের গুনো- গান
সবচেয়ে বেশি —–যদিও তিনি দ্বীন-ই-ইলাহী নামে একটি ধর্ম প্রচারের চেষ্টা করেছিলেন।
আমাদের পাঠ্যপুস্তকে দীনিয়াত শিক্ষা ছিল। সেখানে ধর্ম সম্পর্কে বিশেষ কোনো কিছুই শেখানো হয়নি।
সম্পূর্ণ ছেলেবেলাটা আমাদের অন্ধত্বের মধ্যে কেটেছে।
মনের ভেতরের কালো পর্দা গুলো সরিয়ে,পরিষ্কার ও স্বচ্ছ মনটাকে পাওয়া অনেক দুষ্কর!!!